কল্পতরু উৎসবকে কেন্দ্র করে দক্ষিণেশ্বরে হবে লাখো লাখো ভক্তের ভিড়। কল্পতরু উৎসবের দিন যাতে সমস্ত পুণ্যার্থীরা সুষ্ঠুভাবে মন্দির দর্শন করতে পারেন, এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে পথে নামলেন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার, ডেপুটি কমিশনার থেকে শুরু করে দক্ষিণেশ্বর থানার পুলিশ। আর দর্শনার্থীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই এই বছরই প্রথমবার দক্ষিণেশ্বর মন্দির চত্বর সহ সাত থেকে আট জায়গায় লাগানো হচ্ছে ‘পথ নির্দেশক’ মানচিত্র বা ম্যাপ। এছাড়া যে কোনো রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এদিন মন্দির চত্বরে এবং বাইরে মোতায়েন থাকবে প্রায় সাড়ে ছয়শো পুলিশ এবং ট্রাফিক পুলিশ।
১ জানুয়ারি কল্পতরু উৎসব। এদিন জয়রামবাটি, কামারপুকুর, বেলুড় মঠ সহ দক্ষিণেশ্বরে নামে ভক্তের ঢ্ল। বিশেষ করে দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিণীর পুজো উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থীরা রীতিমতো লাইনে দাঁড়িয়ে মন্দির দর্শন করেন এবং পুজো দেন। গঙ্গার ঘাটেও দেখা যায় প্রচুর মানুষের ভিড়। কারণ এই দিন অনেক পুণ্যার্থীই গঙ্গায় স্নান করে মন্দিরে পুজো দিতে যান। এবছর কল্পতরু উৎসব উপলক্ষে দক্ষিণেশ্বরে প্রায় ছয় থেকে সাত লক্ষ মানুষের আগমন হতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। এ বছর থেকে মন্দির চত্বর সহ বিভিন্ন জায়গায় লাগানো হবে বিরাট আকারের ‘পথনির্দেশক’ মানচিত্র। দর্শনার্থীরা ঠিক কোন দিক দিয়ে গেলে মন্দির দর্শন করতে পারবেন মানচিত্র সেই দিক নির্দেশ করবে। এ বছরই প্রথম এইরকম পথনির্দেশক বিশাল আকারের মানচিত্রের ব্যবস্থা করেছে দক্ষিণেশ্বর পুলিশ। সাত থেকে আট জায়গায় এরকম ম্যাপ লাগানো থাকবে। সোমবার বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া গিয়েছিলেন দক্ষিণেশ্বর মন্দির চত্বরে, কল্পতরু উৎসব উপলক্ষে পুলিশি ব্যবস্থা পরিদর্শন করার জন্য। সঙ্গে ছিলেন ডিসি (সাউথ ডিভিশন) অনুপম সিং।
তখনই সিপি নির্দেশ দিয়েছেন যাতে দর্শনার্থীরা ‘ঝক্কিহীন’ভাবে মন্দির দর্শন করতে পারেন। আর এই কারণেই মানুষ কল্পতরু উৎসবের দিন ঠিকঠাকভাবে যাতে মন্দির দর্শন করতে পারেন, সেই ব্যবস্থাপনার অঙ্গ হিসাবে এই মানচিত্র লাগাচ্ছে দক্ষিণেশ্বর পুলিশ। এছাড়াও দর্শনার্থীরা যাতে সুষ্ঠুভাবে মন্দির দর্শন করতে পারেন, তার জন্য আরও অনেক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে দক্ষিণেশ্বর পুলিশের তরফে। এবছর দুটি লাইনের মাধ্যমে দর্শনার্থীরা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন। এছাড়াও আগে শুধুমাত্র রেলওয়ে পার্কিংয়েই গাড়ি রাখা যেত। এই রেলওয়ে পার্কিংটি স্কাইওয়াকে প্রবেশপথের ডানদিকে অবস্থিত। এ বছর থেকে রেলওয়ে পার্কিং বাদ দিয়েও আরও দুটি জায়গায় অতিরিক্ত পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। যার মধ্যে একটি হচ্ছে কলুবাগান পার্কিং, আরেকটি হচ্ছে বাস রোটারি পার্কিং। এছাড়াও মন্দির চত্বরে রাখা হয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র। কল্পতরু উৎসবে যেহেতু দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গার ঘাটগুলোতেও পুণ্যার্থীদের ভিড় হয়। এদিন ড্রোন ক্যামেরার সাহায্যে নজরদারি চালাবে পুলিশ।