কলকাতা বইমেলার পাশাপাশি সারা রাজ্যের ছোট থেকে বড় ব্লকের বইমেলাগুলিতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা গল্প এবং কবিতা সমগ্র প্রতিটি জায়গাতেই আলাদাভাবে স্টলে পাওয়া যেত। কেবলমাত্র নিউটাউন বইমেলাতেই মমতার লেখা বই বা কবিতা সমগ্র পাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে ধন্য হয়ে খুঁজতে হতো প্রতিটি দোকান। ১১ তম বর্ষে এসে নিউটাউন বইমেলা এই প্রথম মমতা বিতান বলে একটি নতুন স্টল তৈরি করেছে। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখনী প্রতিটি সমগ্র খুব সহজেই সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। শুধু তাই নয় বহু মানুষ বইমেলাতে জাগো বাংলা স্থল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি তার ছবিও সংগ্রহ করে থাকেন। নিউ টাউন বইমেলার একই রকম ভাবে মমতা বিতান স্টলে থাকতে তার ব্যবস্থা।
বুধবার বড়দিনের সন্ধ্যায় এই স্টলটি উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট কবি জয় গোস্বামী। শুধু তাই নয় তার সঙ্গে এদিন তিনি ওই স্টল থেকে দুটি বই যথাক্রমে কোভিডের দিনলিপি এবং মমতার গদ্য সমগ্র এক নিজে সংগ্রহ করেন। মূলত ১১তম নিউটাউন বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেখা মিলল সরকারি বিশিষ্ট জনেদের। রাজ্যের বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক তথা সরকারের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, আরেক প্রাক্তন মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদি, সহ হিডকো এবং এনকেডিএ-র আধিকারিকরা এদিন উপস্থিত ছিলেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। নতিস্বীকার করে মানুষের কাছে মাথা নত করলে তাতে ছোট হওয়া হয় না সেটা মহান ব্যক্তিরা ইতিহাসে তাঁদের কীর্তির মাধ্যমে বর্ণিত করে গেছেন। এই বার্তা তুলে ধরার জন্য প্রখ্যাত সাহিত্যিক। জয় গোস্বামী দুজন বরেন্দ্র ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম স্যার আইনস্টাইন এবং পরবর্তী ব্যক্তি ওস্তাদ আমজাদ আলী খান। তাঁরা দুজনই তাদের জীবনের দুটি বিষয়ে আমজনতার কাছে তাদের ভুল প্রকাশ্যে স্বীকার করে নিয়েছিলেন। তারপরও সাধারণ মানুষ তাদের প্রতি শ্রদ্ধা না কমিয়ে তাদের আজও মনের মনি কথায় স্থান দিয়ে রয়েছেন। পাশাপাশি এদিনের অনুষ্ঠানে উজ্জ্বল উপস্থিতি ছিল কলকাতা বইমেলার আয়োজক সংস্থা গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চ্যাটার্জি এবং সম্পাদক সুধাংশুশেখর দে’র। নিউটন বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে আরও একটি বার্তা সাধারণ মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তার পথপ্রদর্শক হিসেবে ভূমিকা গ্রহণ করেন জয় গোস্বামী।
তিনি তাঁর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে মানুষের কাছে জানান, সঠিক কাজ নিজের আনন্দে করে যেতে হয় সেখানে নিন্দুকেরা কি বলল তাতে কান দিতে নেই। সর্বোপরি রাজের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাযের নিউটাউন বইমেলার প্রতি যে আলাদা গুরুত্ব এবং তার পৃষ্ঠপোষকতা আছে সেই বার্তা তুলে ধরেন হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী। নিউ টাউন বইমেলা বাংলার শিক্ষা সংস্কৃতির বৈচিত্র্যকে বাড়িয়ে নিজের রঙে নতুন ভাবে সেজে উঠল।