মহাষষ্ঠীর দিন চিকিৎসকদের একটি দল আর জি করের নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে এবং কুলতলির নাবালিকার নির্যাতনের দাবিতে বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে গিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের একটি দল ‘ বিচার চাই ‘ স্লোগান তোলেন। এবং তারপরই ৯ জন চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়। জানা যাচ্ছে, আজ মহাসপ্তমীর দিন ৯ জন চিকিৎসককে পেশ করা হতে চলেছে আলিপুর আদালতে। কিন্তু তার আগেই আদালত চত্বর জুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। আদালত চত্বরে ধর্মতলার অনশন মঞ্চ থেকে সেদিকে রওনা দিয়েছেন সিনিয়র এবং জুনিয়র চিকিৎসকদের একটি দল। আন্দোলনকারীদের জামিন যেন সুনিশ্চিত হয় তার জন্যই চিকিৎসকদের দল উপস্থিত হতে চলেছেন আদালত চত্বরে।
ঠিক কি ঘটেছিল কাল?
আগে থেকেই সিদ্ধান্ত ছিল মহা ষষ্ঠীর দিন চিকিৎসকদের একটি দল উপস্থিত হবেন কলকাতার বিভিন্ন মণ্ডপে। যেই কর্মসূচীর নাম দেওয়া হয় ‘অভয়া পরিক্রমা ‘। সেখানে তাঁরা আর জি করের নির্যাতিতার প্রতীকী মূর্তির পাশাপাশি কুলতলির নাবালিকার প্রতীকী মূর্তি নিয়ে উপস্থিত হয়ে আওয়াজ তুলবেন ‘বিচার চাই ‘ স্লোগান। কিন্তু সেই কর্মসূচি প্রথমেই বাঁধা পায় চাঁদনী চকে। পরবর্তী ক্ষেত্রে আন্দোলনকারীরা ধর্মতলার অনশন মঞ্চে ফিরে আসেন। এবং সেখান থেকে একটি দল উপস্থিত হন ত্রিধারায়। তোলেন ‘বিচার চাই’ স্লোগান। যার কারণে ৯ জন চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের দ্রুত মুক্তি দিতে হবে, এই দাবিতে মহা ষষ্ঠীর রাতে চিকিৎসকদের একটি দল উপস্থিত হন লালবাজারে। দেখান বিক্ষোভ।
সেখানেই সারারাত চলে অবস্থান। এমনকি ৯ জন চিকিৎসককে যতক্ষণ না ছাড়া হবে, ততক্ষণ বিক্ষোভ চলবে বলে হুঁশিয়ারি দেন চিকিৎসকরা। যার জেরে মহা ষষ্ঠীর রাত থেকে মহা সপ্তমীর দিনও লালবাজারের অদূরে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট মুড়ে ফেলা হয় গার্ড রেল দিয়ে। মোতায়ন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ। যার জেরে মহা সপ্তমীর দিনও দুর্গের চেহারা নেয় গোটা এলাকা।
দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে আজ চিকিৎসকদের একটি দল উপস্থিত হন আলিপুর আদালতের সামনে। যেখানে আজ ৯ জন আটক করা চিকিৎসককে আদালতে পেশ করা হয়।