কসবার কাউন্সিলরকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় এবার পুলিশের জালে স্কুটার চালক। ধৃতকে বিহারের থেকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশের গুণ্ডাদমন শাখা।
পুলিশ সূত্রে খবর, বিহারের বৈশালীর বাসিন্দা ধৃত লক্ষণকুমার সিং ওরফে ছটু বিহারের বৈশালীর বাসিন্দা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার ভোর রাতে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই নিয়ে কসবা কাণ্ডে মোট ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৬। পুলিশ সূত্রে খবর, পুরপ্রতিনিধি সুশান্ত ঘোষকে খুন করতে আসার জন্য যে স্কুটার ব্যবহার করেছিল দুষ্কৃতীরা, সেই স্কুটারের চালক এই লক্ষণ। ঘটনার সময় কিশোর যুবরাজকে হাতেনাতে পুরপ্রতিনিধি ঘনিষ্ঠেরা ধরে ফেললেও স্কুটার নিয়ে চম্পট দেয় লক্ষণ। ঘটনার এক সপ্তাহ পর সেই স্কুটার উদ্ধার করা হয় বন্ডেল গেট এলাকার এক পরিত্যক্ত গলি থেকে। এলাকার সিসিটিভি ফুতেজ খতিয়ে তদন্তকারী আধিকারিকেরা জানতে পারেন ওই এলাকায় স্কুটার রেখে বালিগঞ্জ স্টেশনের দিকে গিয়েছে এক যুবক। ঘটনার প্রায় দিন ১৫ পরে বিহারে নিজের বাড়ি থেকে পাকড়াও করা হল লক্ষণকে।
গত ১৫ নভেম্বর নিজের বাড়ির সামনে বসেছিলেন কলকাতা পুরসভার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি সুশান্ত ঘোষ। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করার চেষ্টা করে এক কিশোর দুষ্কৃতী। জনতার হাতে সে সঙ্গে সঙ্গে ধরা পড়লেও পালিয়ে যায় লক্ষণ। অন্যদিকে ঘটনার তদন্তে নেমে বর্ধমানের গলসি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় পুরপ্রতিনিধি খুনের চেষ্টার ‘মূলচক্রী’ আফরোজ খান ওরফে গুলজারকে। তবে জেরার মুখে তদন্তকারী আধিকারিকদের একাধিকবার বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলেও ধিরে ধিরে চক্রের জট খুলতে থাকেন তদন্তকারীরা। গ্রেপ্তার করা হয় এক ট্যাক্সি চালক আহমেদ আলিকে।
সূত্রের খবর, আহমেদের ট্যাক্সি চেপেই হাওড়া স্টেশন থেকে গুলসান কলোনি গিয়েছিল কিশোর দুষ্কৃতীসহ আরও একজন। শুধু তাই নয়, সূত্রের খবর ওই ট্যাক্সি চেপেই গুলজারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল তারা। ঘটনার তদন্তে নেমে গ্রেপ্তার করা হয় আরও এক দুষ্কৃতী মহম্মদ ফুলবাবুকে। তাকেও বিহার থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সূত্রের খবর, এই ফুলবাবুই পাপ্পু চৌধুরীর সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপন করেছিল গুলজারের। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় গুলসান কলোনির আরও এক বাসিন্দা আহমেদ আলিকে। আর এবার খোঁজ মিলল স্কুটার চালক ছটুর। সূত্রের খবর, ঘটনার দিন দুপুরে এলাকা চিনিয়ে দিতে চালককে নিয়ে সুশান্ত ঘোষের বাড়ি সংলগ্ন এলাকা রেইকি করেছিল অভিযুক্ত।