ইডেনে আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচ শুরুর আগে টিকিট কালোবাজারির অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য। শনিবার ম্যাচ শুরুর আগে শহরে টিকিটের হাহাকার ছিল তুঙ্গে। পাঁচগুণ, দশগুণ বেশি দর হাঁকেন কালোবাজারিরা। সোশাল মিডিয়াতেও চলে দর কষাকষি। এরই মধ্যে সোশাল মিডিয়ার পোস্ট দেখে টিকিট কিনতে গিয়ে প্রতারিত হলেন ধীরজ মালি নামে এক ব্যক্তি। তিনি গিরীশ পার্ক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
আশিস শর্মা নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে কথা হয় শেঠ বাগান লেনের বাসিন্দা ধীরজের। ফোনে দেওয়া নির্দেশ মেনে পীযূষ মহেন্দ্রকে ২০ হাজার টাকা দেন ধীরজ। এরপর তিনি দেখেন, খামের ভিতর দু’হাজার টাকার দুটি টিকিট ও দুটি কমপ্লিমেন্টারি টিকিট রয়েছে। এরপর থেকে আশিসের খোঁজ পাওয়া যায়নি। প্রতারিত ধীরজ অভিযোগ জানান গিরীশ পার্ক থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার গভীর রাতে মিত্র লেন থেকে পুলিশ পীযূষ ও তাঁর সহযোগী কমল হুসেনকে গ্রেপ্তার করে।
বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মোট ২১টি টিকিট। কালোবাজারিদের দুটি মোবাইল ফোন ও নগদ ২০ হাজার ৬০০ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। প্রতারণা চক্রের চাঁইদের ধরার জন্য তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। টিকিট কালোবাজারির অভিযোগে মারকুইস স্ট্রিটের বাসিন্দা বছর তেইশের শাহবাজ খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতের কাছে আইপিএলের ৬টি টিকিট পাওয়া গিয়েছে। নিউ মার্কেট থানায় দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতেই এই গ্রেপ্তারি।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তরা কম দামের টিকিট অনেক বেশি দামে বিক্রি করছিলেন। একসঙ্গে অনেক টিকিট নিজেদের কাছে জড়ো করেছেন তাঁরা। তারপর সেই টিকিট ইচ্ছামতো দামে বিক্রি করা হচ্ছে।