বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে উঠে সন্দেশখালি এক গণধর্ষণের তদন্তে পুলিশি নিস্ক্রিয়তা বিষয়ক মামলা। সন্দেশখালিতে গণধর্ষণের অভিযোগে রাজ্যের রিপোর্ট তলব করলো কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী সোমবার রিপোর্ট দিতে হবে রাজ্যকে। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর নির্দেশ আপাতত নির্যাতিতার বাড়িতে পুলিশ পাহারা ও নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করতে হবে।
রাজ্যের আইনজীবী এদিন এজলাসে জানান, ‘তদন্ত চলছে। খুব শীঘ্রই চার্জশিট দেওয়া হবে’। রাজ্য রিপোর্ট দেওয়ার জন্য সময় ও চায়। একই সঙ্গে এই ঘটনার তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি। আগামী সোমবার রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর নির্দেশ দেন, ‘পুলিশ আপাতত নজরদারি করবে নির্যাতিতার বাড়িতে। দুজন পুলিশ বাড়িতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। তার মধ্যে একজন সশস্ত্র পুলিশ থাকবে’।
উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির মাঝেরপাড়ার ওই বধূ গত বছর ১৫ এপ্রিল সন্দেশখালি থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। গত মঙ্গলবার সন্দেশখালির এক মহিলা গণধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। গত বছরের মে মাসে স্থানীয় নেতা দিলীপ মল্লিক-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ করেন।
সোমবার ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে মামলা দায়েরের অনুমতি চান নির্যাতিতা। আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারপতি। মঙ্গলবার দায়ের হয় মামলা। তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলেও এখনও অধরা অভিযুক্তরা। এফআইআর তুলে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে মামলাকারীর অভিযোগ। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করছে না। সেজন্য ভয়ে হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা।
এর পরেই পুলিশের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ। তরুণীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তাঁর বাড়ির বাইরে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ নিরাপত্তার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আগামী সোমবার পরবর্তী শুনানি। সেইদিন তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে পুলিশকে। এদিন, রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়েছে, ‘তদন্ত এগিয়েছে। চার্জশিট দেওয়া হবে’। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, ‘আমি সন্দেশখালি থাবায় অভিযোগ দায়ের করেছি। নানাভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। আমায় থ্রেট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুলিশ কোনও ভূমিকা গ্রহণ করেনি। তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি। আমি চাই দোষীরা উপযুক্ত সাজা পাক’। আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।