জমি কেলেঙ্কারিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে পদত্যাগের দাবি তুলেছে বাংলার তৃণমূল কংগ্রেস। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই কংগ্রেস তথা রাহুলকে চিঠি লিখে রাহুলকে দুষেছে তৃণমূল। অন্যদিকে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা পদত্যাগেদ দাবি উড়িয়ে আইনের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। সোমবারই কর্ণাটক হাইকোর্টে আবেদন করার কথা তাঁর।
তবে পদত্যাগের অভিযোগের জবাবে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, জমি কেলেঙ্কারির ইস্যুকে সিদ্দারামাইয়ার বিপদ বাড়তে পারে। যদিও দৃশ্যত উপমুখ্যমন্ত্রী শিবকুমার-সহ দলের বিধায়ক ও নেতারা সিদ্দারামাইয়ার পাশে থাকলেও অনেকেই এই সুযোগে মুখ্যমন্ত্রীর বদলের দাবি তোলার চেষ্টা করছেন।
রাজ্যপাল থাওয়ারচাঁদ গেহলট মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে তদন্ত করার কথা রাজ্য লোকপালের। লোকপাল চাইলে তদন্তে সিআইডি, সিবিআইয়ের মতো এজেন্সিকে নিয়োগ করতে পারে।
টি জে আব্রাহাম, প্রদীপ এবং স্নেহময়ী কৃষ্ণা নামে তিন জন-আন্দোলনকারী রাজ্যপালের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরকারি জমির প্লট নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন। মূল অভিযোগ, সিদ্দারামাইয়া নথিপত্র বদলে তাঁর স্ত্রী পার্বতীকে এমইউডিএ বা মহীশূর নগরোন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আবাসন প্রকল্পে মহার্ঘ প্লট সস্তায় পাইয়ে দিয়েছেন। এরফলে তিনি প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার সুবিধা পেয়েছেন। এই তিন আবেদনকারীর অভিযোগের জবাবে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন কেন তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে না। সিদ্দারামাইয়ার পাল্টা অভিযোগ, মহীশূর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষই অন্যায়ভাবে তাঁর স্ত্রী’র জমি অধিগ্রহণ করেছিল।
কর্নাটকে গত বছর মে মাসে সিদ্দারামাইয়া মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই কংগ্রেস সরকারের অন্দরে তাঁকে সরানোর দাবিতে চোরা স্রোত বইছে। মুখ্যমন্ত্রী পদের গোড়ার দাবিদার ছিলেন শিবকুমার। বছর ঘোরার আগেই একাধিক দাবিদার তৈরি হয়েছে। বিজেপি ও জনতা দল সেকুলার সিদ্দারামাইয়ার পদত্যাগের দাবিতে পথে নেমেছে। কংগ্রেসের একাংশের খবর বিরোধীদের পিছনে দলের একাংশের মদত আছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস শাসিত কর্ণাটকেও রাজ্য সরকার বনাম রাজ্যপালের বিরোধ চরমে উঠেছে। রাজ্য সরকারের বক্তব্য, রাজ্যপাল অনধিকার চর্চা করছেন। গত ২৬ জুলাই মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো রাজ্যপালের শো-কজ নোটিসকে রাজ্য সরকার রাজভবনের অসাংবিধানিক হস্তক্ষেপ বলে মন্তব্য করে পাল্টা নোট পাঠায়।