• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

১০ কেজির গেরোয় কংগ্রেস, রাহুলের পাশে দাঁড়াতে ওজন কমানোর আজব শর্ত বাবা সিদ্দিকির ছেলেকে

মুম্বই, ২৩ ফেব্রুয়ারি– রাহুল গান্ধির সঙ্গে দেখা করার পথে এবার ওজন বাধা হয়ে দাঁড়াল কংগ্রেস কর্মীর ক্ষেত্রে৷ বাবা কংগ্রেস ছাড়লেও ছেলে রয়ে গিয়েছেন শতাব্দিপ্রাচীণ দলটিতে৷ ৫০ বছরের সম্পর্ক ভেঙে কংগ্রেস ছেডে়ছেন বাবা সিদ্দিকি৷ বাবার কাজের জন্য ছেলে জিসান সিদ্দিকিকেও সম্প্রতি মুম্বইয়ের যুব শাখার প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ বাবার কংগ্রেস ছাড়ার পরই এবার দলের

মুম্বই, ২৩ ফেব্রুয়ারি– রাহুল গান্ধির সঙ্গে দেখা করার পথে এবার ওজন বাধা হয়ে দাঁড়াল কংগ্রেস কর্মীর ক্ষেত্রে৷ বাবা কংগ্রেস ছাড়লেও ছেলে রয়ে গিয়েছেন শতাব্দিপ্রাচীণ দলটিতে৷ ৫০ বছরের সম্পর্ক ভেঙে কংগ্রেস ছেডে়ছেন বাবা সিদ্দিকি৷ বাবার কাজের জন্য ছেলে জিসান সিদ্দিকিকেও সম্প্রতি মুম্বইয়ের যুব শাখার প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ বাবার কংগ্রেস ছাড়ার পরই এবার দলের বিরুদ্ধে বোমা ফাটালেন জিসান৷ তাঁর বিস্ফোরক দাবি, দলের নেতা রাহুল গান্ধির সঙ্গে দেখা করার জন্য তাঁকে ওজন কমানোর শর্ত দেওয়া হয়৷ তিনি স্থূলকায় হওয়ায় তাকে এমন বলে অপমান করা হয়৷ দলের তরফে শর্ত রাখা হয়েছিল, ওজন কমালে তবেই রাহুল গান্ধির সঙ্গে দেখা করা যাবে৷
বাবা সিদ্দিকির ছেলে জিসান সিদ্দিকি দাবি করেন, কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা যখন মহারাষ্ট্রের নন্দেদে পৌঁছেছিল, সেই সময় রাহুল গান্ধির সঙ্গে তিনি দেখা করতে চেয়েছিলেন তখন রাহুলের ঘনিষ্ঠরা জানান, কমপক্ষে ১০ কেজি ওজন কমালেই রাহুল গান্ধির পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ মিলবে তাঁর৷
এদিকে, জিসানের এই দাবির পর প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা তথা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “একজনই দলীয় কর্মীদের কাছ থেকে এই ধরনের অদ্ভুত দাবি করতে পারেন যে তাদের ভাল দেখতে ও ফোটোজেনিক হতে হবে৷ এমন নিয়ম তো উত্তর কোরিয়ার প্রশাসকের রয়েছে৷”
তবে শুধু ওজন নয়, ৩১ বছর বয়সী ওই কংগ্রেস নেতার আরও দাবি, কংগ্রেসের অন্দরে সংখ্যালঘু নেতাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়৷ ভেদাভেদ, এমনকী সাম্প্রদায়িক বিভাজনের অভিযোগও তোলেন দলের বিরুদ্ধে৷ জিসান বলেন, কংগ্রেসে মুসলিম হওয়া কি পাপ? কংগ্রেসকে জবাব দিতে হবে, কেন আমায় এভাবে নিশানা করা হচ্ছে? শুধু আমি মুসলিম বলে?” বুধবারই বাবা সিদ্দিকির ছেলেকে মুম্বই যুব কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়৷ জিসানের দাবি, তাঁকে যে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সেই বিষয়ে অবগতও করা হয়নি৷ ৯০ শতাংশ ভোট পেয়েই তিনি এই পদে বসেছিলেন৷ কিন্ত্ত কয়েক মাসের মধ্যেই বিনা কারণে তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ জিসানের আরও বড় দাবি, কংগ্রেসে মল্লিকার্জুন খাড়গেও নিজে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না৷ তাঁর হাতও বাধা থাকে৷