• facebook
  • twitter
Saturday, 7 September, 2024

পুরসভার জমি দখলের মামলায় গুজরাট হাই কোর্টের দ্বারস্থ ইউসুফ পাঠান

ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং সদ্য নির্বাচিত তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ তুলে নোটিস পাঠিয়েছিল বিজেপি পরিচালিত বরোদা পুরসভা। এবার সেই নোটিসের বিরুদ্ধে গুজরাট হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ইউসুফ পাঠান। বৃহস্পতিবার তাঁর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী। বরোদার প্রাক্তন বিজেপি কাউন্সিলর বিজয় পাওয়ার গত ১৩ জুন জমি দখল সংক্রান্ত অভিযোগ উত্থাপন করেছিলেন।

ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং সদ্য নির্বাচিত তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ তুলে নোটিস পাঠিয়েছিল বিজেপি পরিচালিত বরোদা পুরসভা। এবার সেই নোটিসের বিরুদ্ধে গুজরাট হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ইউসুফ পাঠান। বৃহস্পতিবার তাঁর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী।
বরোদার প্রাক্তন বিজেপি কাউন্সিলর বিজয় পাওয়ার গত ১৩ জুন জমি দখল সংক্রান্ত অভিযোগ উত্থাপন করেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন যে ইউসুফ পাঠান তাঁর বাড়ির পাশে পুরসভার জমি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন।বরোদার তান্দলাজা এলাকায় বাংলো রয়েছে ইউসুফের। সেই বাংলোর পাশে রয়েছে পুরসভার ‘টাউন প্ল্যানিং ২২ ফাইনাল প্লট ৯০’ সংরক্ষিত জমিটি। ২০১২ সালে এই জমিটি পুরসভার থেকে কিনে নিতে চেয়েছিলেন ইউসুফ পাঠান। সেখানে তিনি নিজস্ব একটি আস্তাবল তৈরী করতে চেয়েছিলেন। পুরসভা একটি প্রস্তাব পাশ করে সেই জমি প্রাক্তন ক্রিকেটারকে দেওয়ার অনুমোদন দেয়। ২০১৪ সালে বিষয়টি যায় গুজরাত সরকারের কাছে। তখন রাজ্য প্রশাসন সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেয়। এখন অভিযোগ, সেই জমির চারপাশে প্রাচীর তুলে তা দখল করে রেখেছেন ইউসুফ। সেই জমি ফেরানোর আর্জি জানিয়ে বরোদা পুরসভার বর্তমান স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এবং পুরকমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন বিজয়।
বিজয় পাওয়ার সংবাদমাধ্যমকে জানান, ২০১২ সালে পুরসভার এই জমিটি পাঠানকে বিক্রি করার প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে ইউসুফ পাঠান দেওয়াল তুলে দিয়ে জমিটি দখল করেছেন। এই আবহে ইউসুফ পাঠানকে একটি নোটিস ধরিয়েছে বরোদা পুরসভা।
 স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, এই নিয়ে পাঠানকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। শীঘ্র সিদ্ধান্তও নেওয়া হবে। পুরসভার ওই জমি উদ্ধারের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি এর আগে বরোদা পুরসভার তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল, ইউসুফ পাঠানের দখলে থাকা সেই জমি আদতে পুরসভার। এই আবহে সেই দাবির বিরোধিতায় উচ্চ আদালতে গেলেন ইউসুফ। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুননি হয়। এদিকে হাই কোর্টে মামলা হওয়ার পরে বরোদা পুরসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান শীতল মিস্ত্রী বলেন, ‘মামলা এখন আদালতে। এই আবহে হাই কোর্ট কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাই দেখার।’
এ বারের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে পাঠানকে প্রার্থী করে চমক দিয়েছিল তৃণমূল। গুজরাত থেকে তাঁকে বাংলায় নিয়ে এসে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর ‘গড়’ বলে পরিচিত বহরমপুরে ভোটের টিকিট দেয় তৃণমূল। ৫২ হাজারের বেশি ভোটে তিনি অধীরকে হারিয়ে দিয়েছেন। সেই ফলপ্রকাশের পরেই গুজরাতের পুরসভা থেকে নোটিস পাঠানো হয় পাঠানের কাছে। এ বার তিনি দ্বারস্থ হয়েছেন হাই কোর্টের।
এদিকে বরোদা পুরসভার বর্তমান বিজেপি কাউন্সিলর নীতীন দোঙ্গা দাবি করেছেন, নির্বাচনের জন্যে মনোনয়ন পেশের সময় ইউসুফ পাঠান নিজের হলফনামায় তাঁর সম্পত্তির তালিকায় এই দখলি জমির উল্লেখ করেছেন। এই আবহে পাঠানের বিরুদ্ধে জমি দখলের আইনি পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন তিনিও