ভোপাল, ২৯ মে– স্ত্রী, সন্তান-সহ পরিবারের ৮ সদস্যকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে নৃশংস খুন করল এক যুবক৷ মর্মান্তিক এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে মধ্যেপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়ার৷ জানা গিয়েছে, গোটা পরিবারকে হত্যার পর নিজেও গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে অভিযুক্ত৷ ছিন্দওয়াড়ার তামিমার কাছে জঙ্গলঘেরা এক আদিবাসী গ্রামে চলে এই নির্মম হত্যাকাণ্ড৷ পুলিশের তরফে জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার রাত ২.৩০ থেকে ৩টে নাগাদ এই কাণ্ড ঘটায় ওই পরিবারেরই সদস্য দীনেশ৷ বাড়ির সকলে যখন ঘুমে অচেতন ঠিক সেই সময় কুড়ুল দিয়ে পরিবারের একের পর এক সদস্যকে খুন করে সে৷ এই হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অভিযুক্তের ১০ বছরের বালক৷ যদিও ঠিক কী কারণে দীনেশ এমন কাণ্ড ঘটাল তা এখনও জানা যায়নি৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মানসিক অসুস্থ ছিলেন অভিযুক্ত৷ যার জন্য চিকিৎসাও করাচ্ছিলেন তিনি৷
এই ঘটনায় মৃতরা হলেন দীনেশের ভাই, স্ত্রী ও সন্তান৷ স্থানীয়দের দাবি ভোররাতে ওদের বাড়ি থেকে হঠাৎ কান্নাকাটি ও চিৎকারের শব্দ শোনা যায়৷ গ্রামবাসীরা ছুটে এলে দেখা যায় রক্তে ভেসে যাচ্ছে গোটা ঘর৷ গ্রামবাসীরা চলে আসায় বাড়ি থেকে জঙ্গলে পালিয়ে যায় দীনেশ৷ পরে বাড়ি থেকে কিছু দূরে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ৷