• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

দিল্লির ৪০ ফুট গভীর বোরওয়েলে পড়ে যুবকের মৃত্যু 

দিল্লি, ১০ মার্চ –  দিল্লি জল বোর্ডের একটি জল শোধনাগারের গর্তে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। ৬ ঘণ্টা ধরে চেষ্টার পরেও দিল্লির জল বোর্ডের ওই  কূপ থেকে উদ্ধার করা হলেও বাঁচানো যায়নি যুবককে। রবিবার ভোরে দিল্লির কেশপুর মান্ডি এলাকার এক ৪০ ফুট গভীর গর্তে পড়ে যান ওই যুবক। তাঁকে উদ্ধার করতে নামে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, দমকল বাহিনী

দিল্লি, ১০ মার্চ –  দিল্লি জল বোর্ডের একটি জল শোধনাগারের গর্তে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। ৬ ঘণ্টা ধরে চেষ্টার পরেও দিল্লির জল বোর্ডের ওই  কূপ থেকে উদ্ধার করা হলেও বাঁচানো যায়নি যুবককে। রবিবার ভোরে দিল্লির কেশপুর মান্ডি এলাকার এক ৪০ ফুট গভীর গর্তে পড়ে যান ওই যুবক। তাঁকে উদ্ধার করতে নামে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, দমকল বাহিনী এবং পুলিশ। কিন্তু বহু চেষ্টা করেও যুবককে বাঁচাতে পারেনি উদ্ধারকারী দল।    

রবিবার ভোরে দিল্লি জল বোর্ডের একটি জল শোধনাগারের কূপে আচমকাই পড়ে যান এক যুবক। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় উদ্ধারকারী দল। কী ভাবে তাঁকে উদ্ধার করা হবে  তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু হয়। কারণ গর্তের মুখ থেকে কাউকে নামিয়ে উদ্ধার করা সম্ভব ছিল না।

দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার,পশ্চিম বিচিত্র বীর বলেন, “ভোরের দিকে বিকাশপুরি থানায় একটি কল আসে। জানানো হয়, এক জন গর্তে পড়ে গিয়েছে। খবর পাওয়া মাত্রই স্থানীয় পুলিশ এবং দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে ডাকা হয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থির করা হয় ওই গর্তের পাশে আরও একটা গর্ত খনন করে উদ্ধারকাজ চালানো হবে। সেই মতো শুরু হয় গর্ত খোঁড়ার কাজ। ছ’ঘণ্টার চেষ্টায় গর্ত খুঁড়ে আটকে থাকা যুবকের কাছে পৌঁছন উদ্ধারকারী দলের কর্মীরা। কিন্তু যখন যুবককে উদ্ধার করা হয়  তখন তাঁর জ্ঞান ছিল না।  তিনি বেঁচে আছেন কি না তাও বুঝতে পারেননি ঘটনাস্থলে উপস্থিত সবাই ।

যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে তাঁর পরিচয় এখনও জানা যায়নি। দিল্লির মন্ত্রী অতীশী এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন। তিনি নিজেও ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান ।

প্রশ্ন উঠছে দিল্লি জল বোর্ডের প্লান্ট রাতে তালা বন্ধ থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে ওই ব্যক্তি প্লান্টের মধ্যে প্রবেশ করলেন ? অতীশী জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে পরীক্ষা করে জানা গেছে তালা ভেঙে প্লান্টের মধ্যে প্রবেশ করেছিলেন ওই ব্যক্তি। তাঁর সঙ্গে আর কোনও লোক ছিল কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারি মাসে গুজরাতের জামনগর জেলায় গর্তে পড়েযায় ২ বছরের এক শিশু। তাকে ন’ঘণ্টার চেষ্টায় উদ্ধার করা সম্ভব হয় ।