উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভের আয়োজন করা হচ্ছে। এই মহাকুম্ভে কোটি কোটি ভক্তের আগমনের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কারণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্ত ধরনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মহাকুম্ভে প্রচলিত শব্দভাণ্ডার থেকে দুটি শব্দ পরিবর্তন করেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মহাকুম্ভের সময়, শাহী স্নান এবং পেশওয়াই শব্দ দুটিকে নতুন নতুন নাম দেওয়া হয়েছে। শাহী স্নান এবং পেশওয়াইকে এখন যথাক্রমে অমৃত স্নান এবং নগর প্রবেশ বলা হবে।
একটি মহাকুম্ভে মোট ৬টি রাজকীয় স্নান হয়। বলা হয়ে থাকে, রাজকীয় স্নানের প্রথা কোনও ধর্মগ্রন্থে উল্লেখ নেই। এই ঐতিহ্য শতাব্দী প্রাচীন। মহামুহূর্তে ঋষি-সাধুরা প্রথমে মহাকুম্ভে স্নান করেন। এরপর শুরু হয় ভক্তদের স্নান। এই স্নানের ঐতিহ্যকে শাহী স্নান বলা হত, যা এখন পরিবর্তন করেছেন যোগী। ২০২৫ সালের মহাকুম্ভে শাহী স্নানকে অমৃত স্নান বলা হবে। কথিত আছে যে এই প্রথাটি ১৪ থেকে ১৬ শতকের মধ্যে শুরু হয়েছিল।
পেশওয়াই শব্দটি মূলত ফার্সি ভাষা থেকে এসেছে, যার অর্থ সম্মানিত ব্যক্তিকে স্বাগত জানানো। আক্ষরিকভাবে এই শব্দের অনেক অর্থ হতে পারে। কিন্তু মহাকুম্ভে এর অর্থ সাধু ও ঋষিদের শোভাযাত্রা, যেখানে তারা রথ, হাতি ও ঘোড়ায় বসে মহাকুম্ভ নগরীতে প্রবেশ করেন। এখন এই ভ্রমণকে বলা হবে নগর প্রবেশ। পেশওয়াই শব্দটি বদলে দিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ।
শাহী স্নানের নাম পরিবর্তনের জন্য আখড়া ও মুরুব্বিদের নিরন্তর দাবি ছিল। এর জন্য দুটি নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল, যার প্রথমটি ছিল রাজকীয় স্নান এবং দ্বিতীয়টি অমৃত স্নান। সেই দাবি পূরণ করে সরকার অমৃত স্নান নামটি চূড়ান্ত করেছে। একই সময়ে, আখড়া এবং সাধুরা পেশওয়াই নামটি পরিবর্তনের দাবি তুলেছিলেন। এটি পরিবর্তন করে উত্তর প্রদেশ সরকার নগর প্রবেশ নাম দিয়েছে।