বাংলাদেশে চলমান অস্থিরতা অস্থিরতার মধ্যেই ভারতের রাজনৈতিক জাতীয় ঐক্য এবং রাজনৈতিক বক্তৃতায় একটি নির্দিষ্ট অভিমুখ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন যোগগুরু বাবা রামদেব । একটি ভিডিও বিবৃতিতে, রামদেব বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষার জন্য সমস্ত ভারতীয়দের মধ্যে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। তিনি সারা বিশ্বে এবং এখন ভারতের প্রতিবেশী দেশে “ইসলামী চরমপন্থা” বৃদ্ধির বিপদের বিরুদ্ধেও সতর্ক করেন।
বাবা রামদেব বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে বাংলাদেশে আমাদের হিন্দু ভাইদেরই হোক, সেখানকার হিন্দু মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত ভারতীয় নাগরিকই হোক- বাংলাদেশে বসবাস করছেন। তিনি বলেন, যে কোনো ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতে হবে” । বাংলাদেশের সংকট মোকাবেলায় ভারত সরকারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি বিরোধীদেরও সাধুবাদ জানান। রামদেব বলেন , “আমি এটা দেখে আনন্দিত যে, প্রথমবারের মতো এই ইস্যুতে গোটা বিরোধী দল সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে। এটি সর্বদা ভারতের নীতি হওয়া উচিত। কারণ ইসলামী চরমপন্থার উত্থান, যা বিশ্বব্যাপী বাড়ছে এবং এখন আমাদের প্রতিবেশী দেশের দরজায় কড়া নাড়ছে, আমাদের জাতির জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। ভবিষ্যতেও এই ঐক্য বজায় রাখতে হবে।”
বাবা রামদেব ভারতীয় রাজনীতির অগ্রাধিকার পরিবর্তনেরও আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি নেতাদের বিভাজনমূলক বিষয়গুলির পরিবর্তে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলিতে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানান। রামদেব বলেন, “…আমাদের দেশের রাজনীতি সবসময় বাস্তব বিষয়ের উপর ফোকাস করা উচিত। সংরক্ষণ, সংবিধান, জাতপাত বা অন্যান্য ধর্মীয়, ভাষাগত বা আঞ্চলিক অস্থিরতা দ্বারা বিভ্রান্ত না হয়ে, আমাদের কীভাবে প্রগতির ভিত্তিতে জাতিকে উন্নত করা যায় সেদিকে মনোনিবেশ করা উচিত।” তিনি ২০৪৭ সালের মধ্যে একটি শক্তিশালী এবং স্থিতিস্থাপক ভারত গড়ার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।” রামদেব আরও যোগ করেছেন, আমাদের ফোকাস ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে অর্থনৈতিকভাবে, সামরিকভাবে, সামাজিকভাবে এবং আধ্যাত্মিকভাবে শক্তিশালী করার দিকে হওয়া উচিত। তবেই ভারত তার প্রতিবেশীদের সাথে শক্তিশালী হয়ে দাঁড়াতে সক্ষম হবে এবং বিশ্ব মঞ্চে নিজেকে শক্তিশালীভাবে জাহির করতে সক্ষম হবে,” ।