নিউ ইয়র্ক, ২ ফেব্রুয়ারি– ইউএস নিউজ পাওয়ার র্যাঙ্কিং অনুসারে, জো বাইডেনের দেশই ২০২৪ সালে বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে৷ তবে, পিছিয়ে নেই চিনও৷ প্রযুক্তিগত এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতির জোরে এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে বেজিং৷ আর ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব এবং সামরিক শক্তির জোরে বিশ্বের তৃতীয় শক্তিশালী দেশ হিসেবে নিজেদের জায়গা ধরে রেখেছে রাশিয়া৷ জিডিপির নিরিখে এই মুহূর্তে বিশ্বে ভারতের স্থান পঞ্চম হলেও, শক্তিশালী দেশগুলির তালিকায় এখনও প্রথম ১০-এ জায়গা করে নিয়ে পারেনি৷ এই বছর এই তালিকায় ভারত আছে দ্বাদশ স্থানে৷
ইউএস নিউজ পাওয়ার র্যাঙ্কিং কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নেতৃত্ব, অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব, আন্তর্জাতিক জোট এবং সামরিক শক্তির উপর ভিত্তি করে এই র্যাঙ্কিং দেওয়া হয়েছে৷ প্রযুক্তি, অর্থ এবং বিনোদনের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে সবার আগে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ তবে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এবং ৫জি নেটওয়ার্কের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে চিন৷ সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রভাবের দিক থেকেও ক্রমে তারা শীর্ষস্থানে উঠে আসছে৷
অন্যদিকে, সবুজ শক্তি এবং ডিজিটাল রূপান্তরের জোরে তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে জার্মানি৷ পঞ্চম এবং ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে ব্রিটেন এবং দক্ষিণ কোরিয়া৷ ব্রিটেনের ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে ব্রেক্সিট-পরবর্তী বিভিন্ন উদ্যোগ আর দক্ষিণ কোরিয়া এই স্থান পেয়েছে তাদের প্রযুক্তি এবং সবুজ শক্তি উদ্যোগের জোরে৷ ডিজিটালাইজেশন ও সবুজ শক্তিকে অগ্রাধিকার দিয়ে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সামগ্রিক স্থিতিশীলতায় অবদান রাখার দৌলতে সপ্তম স্থান অর্জন করেছে ফ্রান্স৷ উন্নত মানের ইলেকট্রনিক চিপ তৈরি, এআই এবং বৈদু্যতিক যানবাহন তৈরির ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য তালিকার অষ্টম স্থানে রয়েছে জাপান৷ বিশ্বের প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশ সৌদি আরব রয়েছে নবম স্থানে৷ প্রথম দশে আর রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি৷
ভারত দ্বাদশ স্থানে থাকলেও, এই ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে আমাদের দেশের৷ শক্তিশালী অর্থনীতি, শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, দুর্দান্ত সামরিক শক্তি এর ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক মর্যাদার কারণে দ্রুত এই স্থানে উঠে এসেছে ভারত৷ দ্রুত প্রথম দশেও উঠে আসবে ভারত, এমনই মনে করছে ইউএস নিউজ পাওয়ার র্যাঙ্কিং কর্তৃপক্ষ৷
