বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের আগে থেকেই আন্দোলন চলছিল। সরকার পতন হতেই পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। আওয়ামি লিগের নেতা-মন্ত্রীদের উপর ক্ষোভের আগুন জ্বলছিল। এইরকম পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ মহিলাদের টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজন যে সম্ভব নয় তা নিয়ে আশংকায় ছিলেন ক্রীড়াপ্রেমীরা। এবার সেই আশঙ্কা সত্যি হল। অবশেষে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নেওয়া হল মহিলাদের টি-২০ বিশ্বকাপ।
আইসিসির তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্বকাপ খেলা বাংলাদেশের পরিবর্তে আয়োজিত হবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে। পূর্বনির্ধারিত সূচির স্কন রদবদল হবে না। নির্দিষ্ট সময়েই দুবাই এবং শারজায় পৌঁছে যাবে অংশগ্রহণকারী দলগুলো। দুবাই এবং শারজা-দুটি মাঠে বিশ্বকাপের সব ম্যাচ আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছে আইসিসি। তবে আয়োজকদের ভূমিকায় থাকছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডই। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “মহিলাদের টি-২০ বিশ্বকাপ বাংলাদেশে আয়োজন করতে না পারাটা খুবই লজ্জাজনক। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সবরকমভাবে চেষ্টা করেছে বিশ্বকাপ আয়োজনের। তবে অংশগ্রহণকারী একাধিক দেশের তরফে যা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল, তাতে বাংলাদেশে বিশ্বকাপ আয়োজন করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।”
চলতি মাসের শুরু থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলেও পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়নি। যদিও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সত্ত্বেও নিজেদের দেশেই মহিলাদের টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চেয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সেই মর্মে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং বিশ্বকাপ আয়োজন করার অবস্থা নিয়ে সেনাপ্রধানকে চিঠিও লেখা হয় বোর্ডের তরফে। তবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে প্রথম থেকেই সংশয়ে ছিল আইসিসি। বিকল্প হিসেবে শ্রীলঙ্কা ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর নামও ভেবে রাখা হয়েছিল।