মুম্বই, ১২ জুন– রাস্তায় হাঁটতে বেরিয়ে গাডি়চাপা পডে় মৃতু্য হয়েছিল বছর বিরাশির বৃদ্ধের৷ প্রাথমিক ভাবে সেটিকে দুর্ঘটনা হিসাবে ধরা হলেও ক্রমে এর নেপথ্যে রহস্য প্রকাশ্যে আসে৷ আসলে সেটি যে নিছক কোনও দুর্ঘটনা নয়, পুরোপুরি পরিকল্পনা করে খুন করা, তদন্তে নেমে এই তথ্যই উঠে আসে পুলিশের হাতে৷ এই খুনের নেপথ্যে যে ৩০০ কোটির সম্পত্তি৷
পুলিশ সূত্রে খবর, মহারাষ্ট্রের নাগপুরের বাসিন্দা শ্বশুর পুরুষোত্তম পুত্তেওয়ারের ৩০০ কোটির সম্পত্তির হাতাতে ভাড়াটে খুনিকে এক কোটি টাকা দিয়েছিলেন পুত্রবধূ অর্চনা মণীশ পুত্তেওয়ার৷ সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তদন্তকারী এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, শ্বশুরের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি হাতাতে ছক কষেছিলেন অর্চনা৷ কিন্ত্ত কী ভাবে সেই খুনকে দুর্ঘটনা বলে দেখানো যায়, তারও ছক কষেছিলেন৷
পুলিশ জানিয়েছে, শ্বশুরকে খুন করার জন্য এক দুষ্কৃতীকে ভাড়া করেন অর্চনা৷ শুধু তাই-ই নয়, ওই দুষ্কৃতীকে বেশ কিছু টাকাও দিয়েছিলেন একটি পুরনো গাডি় কেনার জন্য৷ সেই গাডি় দিয়েই বৃদ্ধকে চাপা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন অর্চনা৷ ঘটনার দিন অসুস্থ স্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন পুরষোত্তম৷ সেখান থেকে ফিরছিলেন৷ রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় পিছনে থেকে একটি গাডি় এসে তাঁকে ধাক্কা মারে৷ ঘটনাস্থলেই মৃতু্য হয়েছিল বৃদ্ধের৷ সেই ঘটনাকে দুর্ঘটনা হিসাবেই প্রাথমিক ভাবে মামলা রুজু করা হয়েছিল৷ কিন্ত্ত তদন্তে পুরুষোত্তমের পুত্রবধূর কিছু গতিবিধি অস্বাভাবিক ঠেকে পুলিশের চোখে৷ তার পর থেকে অর্চনার উপর নজরদারি বৃদ্ধি করে পুলিশ৷
তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, শ্বশুরকে খুন করার জন্য পরিবারের গাডি়চালক বাগডে় এবং তাঁর দুই সঙ্গী নীরজ নিমচে এবং সচিন ধার্মিককে এক কোটি টাকা দিয়েছিলেন অর্চনা৷ অর্চনা-সহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ৷ শহর উন্নয়ন দফতরের অতিরিক্ত অধিকর্তা অর্চনা৷ তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, নিজের প্রভাব খাটিয়ে অনেক দুর্নীতিমূলক কাজ করেছেন তিনি৷
