স্টেট্ ব্যাংকের সমীক্ষায় উঠে এসেছে, মহিলা করদাতার নিরিখে দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের স্থান তিন নম্বরে। গত অর্থবর্ষে ভারতে মহিলা করদাতাদের নিরিখে প্রথম সারিতে কেরল, তামিলনাড়ুর পরেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। মহিলা করদাতাদের অংশীদারিত্বের বিচারে পশ্চিমবঙ্গের এই অগ্রগতি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
যদিও বিজেপি সব সময়ই ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের কথা প্রচার করে থাকে। অর্থাৎ কেন্দ্রে বিজেপি সরকার এবং রাজ্যেও বিজেপি সরকার থাকলে উপকৃত হবেন সেই রাজ্যের মানুষেরা। কিন্তু স্টেট্ ব্যাংকের সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, গত অর্থবর্ষে মহিলা করদাতাদের নিরিখে প্রথম সারিতে রয়েছে কেরল, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব এবং অন্ধ্রপ্রদেশ। লক্ষ্যণীয়, এর মধ্যে প্রথম চারটি রাজ্যেই বিজেপি বিরোধী দল সরকারি ক্ষমতায় রয়েছে। এবং অন্ধ্রপ্রদেশের সরকার এনডিএ-র শরিক হলেও তা অ-বিজেপি সরকার।
উল্লেখ্য, রাজ্যের মোট করদাতার নিরিখে কেরলে মহিলা করদাতা ২২ থেকে ২৬ শতাংশ, তামিলনাড়ুতে ২১ থেকে ২৫ শতাংশ এবং পশ্চিমবঙ্গ ও পাঞ্জাবে ১৬ থেকে ১৯ শতাংশ। এই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, কেরল, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানায় আয়করদাতা মহিলাদের হার জাতীয় গড়ের চেয়ে অনেক বেশি। এতে প্রমাণিত হয় যে, এই রাজ্যগুলিতে মহিলাদের আর্থিক অবস্থা বেশ মজবুত। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে শুধু তাই নয়, স্বনির্ভর হওয়া এবং লগ্নির ক্ষেত্রেও পুরুষদের চেয়ে এগিয়ে আছে মহিলারা। এছাড়াও মিউচুয়াল ফান্ডে যাঁরা লগ্নি করছেন, তাঁদের ৭০ শতাংশই মহিলা। রাজ্যের আয়কর দাতাদের মধ্যে একটি বড় অংশ তাঁরাই।
সুতরাং, মহিলাদের উন্নয়ন ও আর্থিক স্বনির্ভরতার ক্ষেত্রে বিজেপি প্রচারিত ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের তত্ত্ব একেবারেই খাটে না। বরং পশ্চিমবঙ্গ সরকার মহিলাদের জন্য যে প্রকল্পগুলি চালু করেছে, যেমন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী ইত্যাদি প্রকল্পগুলি দ্বারা রাজ্যের মহিলারা যথেষ্ট আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছে। এখন বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যে এই প্রকল্পগুলির অনুসরণে বিভিন্ন প্রকল্প চালু করেছে বা করতে চলেছে।