• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

ভোটের টোটকা হিসেবে কৃষি আইন প্রত্যাহার: অধীর চৌধুরি

ভোটের টোটকা হিসেবেই কৃষি আইন প্রত্যাহার করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে ঠিক এই মন্তব্যই করেন লোকসভার পরিষদীয় দলনেতা সাংসদ অধীর চৌধুরি।

অধীররঞ্জন চৌধুরী (Photo: IANS)

ভোটের টোটকা হিসেবেই কৃষি আইন প্রত্যাহার করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে ঠিক এই মন্তব্যই করেন লোকসভার পরিষদীয় দলনেতা সাংসদ অধীর চৌধুরি।

এদিন তিনি বলেন, ‘প্রথম দিন থেকেই কংগ্রেস পার্টি এবং ভারতবর্ষের কৃষক সমাজ এবং আরও অনেক পার্টি নরেন্দ্র মোদি সরকারের তিনটি কৃষি আইনকে কালা কানুন বলে অভিহিত এবং চিহ্নিত করে আমরা এই কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি করেছিলাম। আজও সেই একই দাবিতে অবিচল।

সংসদের ভিতরে এবং বাইরে কংগ্রেস পার্টির পক্ষ থেকে এবং সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা তারা লাগাতার তিনটি কালো কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার ছিলাম। সংসদে বার বার আমরা দাবি করার সময় আমাদের নানা যুক্তি এবং তথ্য খাড়া করে আমাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল এই সরকার। স্বাধীনতার পরে ভারতবর্ষের ইতিহাসে কৃষক আন্দোলনের এই জয় সবচেয়ে বড় কৃষকদের জয় বলে চিহ্নিত হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটা জিনিস প্রমাণিত, নরেন্দ্র মোদি সরকার তারা বিপথে পরিচালিত হচ্ছে। নোটবন্দি নিয়ে আমরা বলেছিলাম, ভুল হল। জিএসটি নিয়ে বলেছিলাম, ভুল হল। লকডাউন নিয়ে বলেছিলাম পরিচালনায় ভুল হল। কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে বলেছিলাম, পরিচালনায় ভুল হয়েছে। ভ্যাকসিনেশনে ভুল হয়েছে। তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি আমরা করেছিলাম।

এটার পর দেখা যাচ্ছে মোদি সরকার পিছিয়ে যাচ্ছে। মানুষের চাপ, জনগণের চাপ সে নিতে পারছে না।’ অধীরবাবু এদিন আরও বলেন, ‘তবে আমাদের দাবি থাকবে, শুধু কৃষি আইন প্রত্যাহার করলেই হবে না। যে সাতশ জন কৃষক মারা গেল, তাদের পরিবারকে ক্ষতিপুরণ দিতে হবে।

সেইসঙ্গে আকেটি জিনিস বুঝতে হবে, আজ মোদি বাধ্য হয়ে যখন উত্তরপদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাবের কৃষক তার পাশ থেকে সরে গিয়েছে, তখন এটা ভোটের টোটকা হিসেবে এই আইনটা প্রত্যাহার করতে চাইছে। কিন্তু আমরা প্রথম দিন থেকে বলে এসেছি, ভারতবর্ষের ৫৮ শতাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল।

ভারতবর্ষের কৃষিতে ২০-২২ লক্ষ কোটি টাকা কারবার হয়। এই টোটাল কারবারটা তিনি কৃষি আইনের মধ্যে দিয়ে ভারতবর্ষের মোদি সরকার কয়েকজন পুঁজিপতির হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল। সেই চেষ্টায় তারা ব্যর্থ হয়েছে। তার বিলম্বিত বোধোদয় এবং সম্মুখে ভোটোদয় হয়েছে। তাই তাঁকে আজ বাধ্য হতে হয়েছে।

ভারতবর্ষের সরকার আজ কৃষক সমাজের কাছে মাথা নীচু করে আন্দোলনের কাছে মাথা নীচু করে আজকে প্রমাণ করে দিল, তাদের নীতির ভুলে ভারতবর্ষের ক্ষতি হচ্ছে। তাদের অবস্থা দেখে বলতে হচ্ছে, গাধা তো জল খায়, কিন্তু সেই জলটা গুলিয়ে খায়। তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে বাংলার এই প্রবাদটি আবার প্রতিষ্ঠিত হল।’