দেশে হু হু করে বাড়ছে করােনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় করেনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ৩৭২ জন। যা এ পর্যন্ত সর্বাধিক। এমতাবস্থায় সবার মনেই ঢুকেছে লকডাউনের ভয়। ফের কি কর্মশা লকডাউন শুরু হবে? এই প্রশ্নটাই ঘুরপাক খাচ্ছে সব মহলে। তবে সেই সংশয় উড়িয়ে দিয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়ে দিলেন, বড় করে লকডাউন করার কোনও পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। তবে স্থানীয় ক্ষেত্রে কনটেইনমেন্ট জোন হতে পারে।
বিশ্ব ব্যাঙ্কের গ্রুপ প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাসের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করার সময় নির্মলা বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্যগুলি নিজেদের মধ্যে বােঝাপড়া করে কাজ চালাচ্ছে। আমরা নিশ্চিত যে আমরা বড় করে লকডাউনের পথে হাঁটব না। খােদ অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্যের একটা অংশ টুইট করে জানিয়েছে অর্থমন্ত্রক। বিশ্ব ব্যাঙ্কের বিবৃতি অনুযায়ী অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের ভারতে অংশীদারিত্ব নিয়ে কথা হয়েছে। এ দেশে আর্থিক পরিকাঠামাের উন্নতি, জলসম্পদ নিয়ন্ত্রণ ও স্বাস্থ্য নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক।
গত বছর মার্চ মাসে লকডাউন হয়েছিল সারা দেশে। যার ফলে বন্ধ হয়েছিল। একের পর এক কারখানা। কর্মী ছাঁটাই থেকে শুরু করে বেতন না দেওয়া একাধিক বিষয়ের মুখােমুখি হয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। গণপরিবহণের অভাবে কয়েকশাে কিলােমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছিল পরিযায়ী শ্রমিকদের। লকডাউনের ফলে হওয়া বিপত্তি সকলেরই মনে আছে। অন্যদিকে করােনা রুখতে অন্যতম অস্ত্র লকডাউন। তবে অর্থমন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন, বড় করে লকডাউন হবে না দেশে।
প্রসঙ্গত করােনা রুখতে দেশ মূলত ভ্যাকসিনের ওপর ভরসা রাখছে। তাই টিকাকরণ বারাবার কথা বেশি করে লছে কেন্দ্রীয় সরকার। ৰৰ এপ্রিল থেকে দেশে চলছে টিকাকরণ উৎসব। অন্যদিকে ভ্যাকসিনের ঘাটতি মেটানাের জন্য কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের পর স্পুটনিক ভিকে ছাড়পত্র দিয়েছে ডিসিজিআই।