• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

অমিত শাহ’র স্থানে জে পি নাড্ডা কি পারবেন ?

দলের সভাপতি জে পি নাড্ডার নাম প্রস্তাব করবেন দলের প্রাক্তন প্রধান এবং সংসদীয় বাের্ডের সদস্যগণ অর্থাৎ অমিত শাহ, রাজনাথ সিং এবং নীতির গড়কড়ি।

জে পি নাড্ডাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। (Photo: Amlan Paliwal/IANS)

গেরুয়া দলের সেনাপতির আসনে এবার বসতে চলেছে জগৎ প্রকাশ নাড্ডা। হাওযা যা বলছে তাতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই অমিত শাহ’র জায়গায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হচ্ছেন পােড়খাওয়া ওই বিজেপি নেতা।

সােমবার সকালেই মনােনয়ন দিয়েছেন তিনি, সুত্রের খবর নাড্ডার দলের রাশ হাতে নেওয়াটা এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। বিজেপি প্রধানের পদে নাড্ডাকেই দীর্ঘদিন ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি এবং অমিত শাহের পছন্দ হিসাবে দেখা দিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি অমিত শাহকে দলীয় প্রধানের দায়িত্ব থেকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জে পি নাড্ডার রাজনৈতিক জীবনের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা, ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে, আরএসএসের সান্নিধ্য এবং তাঁর ভালাে ভাবমূর্তিকে হাতিয়ার করেই বিজেপি এবার তাঁকেই দলের মুখ করতে আগ্রহী।

২০১৯ সালের জুনে দলরে কার্যনির্বাহী সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন জে পি নাড্ডা । সােমবার বিজেপির কেন্দ্রীয় দফতরে সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচন ঘিরে একটি অনুষ্ঠানের আয়ােজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে দলের সমস্ত কর্মীরাই অংশ নেওয়ার কথা। জানা গেছে, এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বক্তব্য রাখবেন তাঁরা। পাশাপাশি এই অনুষ্ঠান থেকেই জে পি নাড্ডাকে দলের তরফ থেকে বিজেপি সভাপতি পদের দায়িত্ব নেওয়ার জন্যে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনন্দন জানানাে হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সূত্রের খবর, দলের সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডার নাম প্রস্তাব করবেন দলের প্রাক্তন প্রধান এবং সংসদীয় বাের্ডের সদস্যগণ। অর্থাৎ অমিত শাহ, রাজনাথ সিং এবং নীতির গড়কড়ি তাঁর নাম প্রস্তাব করবেন বলে জান গেছে। এরপর বিজেপি’র জাতীয় কাউন্সিলের অন্য সদস্যরাও এই প্রস্তাবকে সমর্থন করবেন। বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির প্রধান রাধামােহন সিং প্রকাশিত এক প্রেস বিবরিতিতে পুরাে প্রক্রিয়াটির কথা তুলে ধরা হয়েছে।

‘বিজেপি তালিকাভুক্তি এবং সম্প্রসারণের প্রথম ধারে প্রক্রিয়া সফলভাবে পরিচালনা করার পরে, ৭৫ শতাংশ বুথ কমিটি, ৫০ শতাংশ মণ্ডল কমিটি গঠন এবং দলীয় সভাপতি নির্বাচন করার জন্য কার্যপ্রণালী এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে’, বলেন তিনি।

বিজেপি’র পুরনাে ঘােড়া হলেন জে পি নাড্ডা। কাজের ঘােড়া। ১৯৯৩-২০১২ পর্যন্ত তিন মেয়াদে হিমাচল প্রদেশের বিধায়ক ছিলেন। তিনি ১৯৯৮ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। ২০০৮-২০১০ পর্যন্ত হিমাচল প্রদেশ সরকারের স্বাস্থ্য এবং তারপরে বন, পরিবেশ ও বিজ্ঞানমন্ত্রীর দায়িত্বও সামলেছে নাড্ডা। পরে জে পি নাড্ডা ২০১০ সালে দিল্লিতে চলে আসেন এবং বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ শুরু করেছিলেন।

২০১২ সালের এপ্রিলে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৪ সালের মে মাসে, মােদি সরকারের মন্ত্রিসভার অংশ হন এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। জুন ২০১৯-এ তাঁকে বিজেপির কার্যনির্বাহী সভাপতি হিসাবে নিযুক্ত করা হয়।