জঙ্গির গুলিতে নিহত স্বামীকে শ্রদ্ধা, সেনায় যােগ স্ত্রীর

প্রতিকি ছবি (Photo: iStock)

ওরা কারা? কেন ওঁকেই নিশানা করল? ওদের বুলেটগুলাে একচুল সরলেই হয়তাে জীবনটা অন্য রকম হত… বছর খানেক ধরে এ কথা ভেবে কত বার যে কেঁদেছেন নিকিতা, তার ইয়ত্তা নেই। তবে থামেননি তিনি।

পুলওয়ামায় জৈশ জঙ্গিদের গুলিতে নিহত স্বামীকে শ্রদ্ধা জানাতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর শর্ট সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় বসেন। উতরােতে ইন্টারভিউ। সে গন্ডি পার হয়ে গিয়েছে। এখন অপেক্ষা মেধা তালিকার। সব ঠিক থাকলে সেনায় ‘ক্যাডেট’ হিসেবে যােগ দেবেন তিনি। প্রয়াত স্বামীর মতােই।

সেনার শৃঙ্খলিত জীবন সম্পর্কে ধারণা থাকলেও নিকিতা কপোরেট কর্মী। ফলে পেশা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত কঠিন ছিল। তবে ‘বিভুর’ কথা যত বারই ভাবতেন, তত বারই মনে হত, এইটি একমাত্র পথ। বিভু অর্থাৎ মেজর বিভূতি শঙ্কর দৌন্ডিয়াল।


গত বছর ফেব্রুয়ারিতে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জৈশ-ই-মহম্মদের জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মারা গিয়েছিলেন এই তরুণ সেনা অফিসার। নিকিতার সঙ্গে বিয়ের তখনও এক বছর হয়নি। তার পর থেকে দিল্লিতে মা-বাবার সঙ্গেই রয়েছেন তরুণী।

তবে ঘটনার পর স্মৃতি ও যন্ত্রণাই নিত্যসঙ্গী হয়ে গিয়েছিল। ভুলতে কাজে ডুবে থাকতে চাইতেন। কিন্তু স্মৃতির দিগন্তে কবেই বা কর্মব্যস্ততা দেওয়াল তুলতে পেরেছে? নিকিতার কথায়, ‘সময় লেগেছে। শর্ট সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় বসার সিদ্ধান্ত ভেবেচিন্তে নিয়েছি। এখনও তাঁর মনে রয়েছে, পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢােকার সময় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন।’ তাঁর বয়ানে, ‘তার পর মনে হল উনিও তাে এক পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছিল… মনে হল বিভু আমার পাশেই।’