নিট পরীক্ষার আগের মুহূর্তে হঠাৎ প্রশ্নপত্রের প্যাটার্নে কেন বদল আনা হয়েছিল? এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ভসনার মুখে পড়ল কেন্দ্র। ডাক্তারদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এভাবে খেলা করা যায় না, তা বুঝিয়ে দিল দেশে শীর্ষ আদালত।
সেই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির কড়া সমালােচনার মুখে পড়তে হল কেন্দ্রের শিক্ষা মন্ত্রককে। এ ব্যাপারে আগামী ৪ অক্টোবরের মধ্যে বৈঠক ডেকে সরকারকে জবাব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
নিট পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে জেনারেল মেডিসিন থেকে ৪০ শতাংশ এবং সুপার স্পেশালিটি থেকে ৬০ শতাংশ প্রশ্ন এসেছিল ২০১৮ সালে। এবছর থেকে আচমকাই নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়। জানানাে হয়, সমস্ত প্রশ্নই আসবে জেনারেল মেডিসিন থেকে।
এবছর নিট পরীক্ষার তারিখ ঘােষণা করা হয় ২৩ জুলাই। এক মাসেরও বেশি সময় পরে জানানাে হয়, প্রশ্নের ধাঁচে (প্যাটার্নে) বদল আনা হবে। সব প্রশ্ন আসবে জেনারেল মেডিসিন থেকে। এমন সময় এটা জানানাে হয়, যখন পরীক্ষা হতে আর মাস দুয়েক মাত্র বাকি।
পরীক্ষার দিন ধার্য হয় ১৩ ও ১৪ নভেম্বর। মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী বলেন, তার মক্কেলরা পুরনাে পরীক্ষার প্যাটার্ন ধরে গত তিন বছর ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু আচমকাই এই পরিবর্তন কার স্বার্থে?
শুনানিতে এদিন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড় এবং বিচারপতি পি ভি নগরত্নর ডিভিশন বেঞ্চ বলে, তরুণ ডাক্তারদের ক্ষমতার খেলায় ফুটবলের মতাে ব্যবহার করা হচ্ছে। দয়া করে এটা করবেন না। ক্ষমতা আছে বলে আপনারা যেমন খুশি তা প্রয়ােগ করতে পারেন না।
এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে পরীক্ষার্থীলের ভবিষ্যৎ। এভাবে প্রশ্নের প্যাটার্ন আপনারা বদলাতে পারেন না। বিষয়টি বিচারপতি কেন্দ্রকে তরুণ ডাক্তারদের বিষয়টি সমবেদনার সঙ্গে দেখার নির্দেশও দেন।