• facebook
  • twitter
Thursday, 12 December, 2024

হিন্দুত্ব নিয়ে রাজনীতি করলেও বাংলাদেশের ঘটনায় চুপ কেন?

সংসদে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াল তৃণমূল

ফাইল চিত্র

ভোট প্রচারে হিন্দুত্ববাদী আবেগ কাজে লাগাতে ব্যস্ত মোদী সরকার। রামমন্দির সহ দেশে একের পর এক মন্দির নির্মাণ, তীর্থক্ষেত্রে উন্নয়ন, বিভিন্ন জায়গার নাম পরিবর্তন সহ একাধিক হিন্দু এজেন্ডা গ্রহণ করা হয়েছে। এমনকি নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার মতো আইন প্রণয়ন করা হয়েছে দ্বিতীয় মোদী সরকারের আমলে। কিন্তু বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর ভয়াবহ আক্রমণ ও সেদেশের মৌলবাদী সরকারের হুঙ্কারের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ নীরবতা অবলম্বন করেছে কেন্দ্রের তৃতীয় মোদী সরকার।

ওপার বাংলার এই কঠিন পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন এপার বাংলার শাসকদল তৃণমূলের সাংসদরা। বিষয়টি নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করলেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা। যা নিয়ে বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় ব্যাপক গোলমাল শুরু হয়। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন বৃহস্পতিবার দাবি করেছেন, মোদি লোকসভা ও রাজ্যসভায় বিবৃতি দিন। যদিও এরপরেই অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়।

এদিন সাংসদ সুস্মিতা দেব বলেন, ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ওখানে হিন্দুদের নিরাপত্তা একেবারে নেই। এই অবস্থায় আমরা দাবি করেছি, প্রধানমন্ত্রী মোদি লোকসভা ও রাজ্যসভায় বিবৃতি দিন। আমাদের দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন ইতিমধ্যে রাজ্যসভায় এই দাবি তুলেছেন। ভোটের সময় ওঁরা হিন্দু হিন্দু করেন আর বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের বেলায় চুপ কেন?’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ক্রমশ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে হিন্দুদের নিরাপত্তা। ঘরে-বাইরে চাপে পড়েও কোনও ভ্রূক্ষেপ করছে না ইউনূস সরকার। বিষয়টি নিয়ে হিন্দুদের সংগঠিত করে প্রতিবাদে রাস্তায় নামতেই হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা দিয়ে জেলে ভরা হয়েছে। তাঁর জামিন মামলার শুনানিও তিনবার পিছিয়ে গিয়েছে। ফলে বিনা অপরাধে আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে জেলেই কাটাতে হবে। এই পরিস্থিতিতে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবিতে সুর চড়াল তৃণমূল।