মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক সংকট ক্রমশ বাড়ছে। পালাবদল এখন সময়ের অপেক্ষা ছাড়া অন্য কিছু নয়। যদিও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে শেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সরকার ধরে রাখতে। কিন্তু ম্যাজিক ফিগার তাঁর হাতে নেই, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
তবে এমনই এক সংকটের মধ্যে এবার দড়ি টানাটানি শুরু হল বালাসাহেবকে নিয়ে। তিনি প্রকৃতপক্ষে কার, সেটাই এখন মহারাষ্ট্রের রাজ্য রাজনীতিতে বড় প্রশ্নচিহ্ন হয়ে উঠেছে। কারণ মহারাষ্ট্রে বালাসাহেব ঠাকরের তৈরি শিবসেনা দল আড়াআড়ি ভাবে ভাগ হয়ে গিয়েছে।
একনাথ শিন্ডে বাহিনী শিবসেনা বালাসাহেব’ এই নাম নিয়ে নতুন দল আত্মপ্রকাশের জন্য জোরকদমে তৎপরতা শুরু করেছে। বালাসাহেব নামের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আবেগ। সেই আবেগকে উস্কে দিতে একনাথ শিন্ডে এবং তাঁর বাহিনী এই কৌশল অবলম্বন করতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে এত সহজে মাঠ ছেড়ে দিতে রাজি নন উদ্ধব ঠাকরে। শিবসেনা প্রধান সাফ জানিয়ে দিয়েছেন,তিনি নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছেন বিদ্রোহী বিধায়কদের বিরুদ্ধে। বালাসাহেব নাম কোনও মতেই তিনি ব্যবহার করতে দেবেন না।
ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে শিবসেনার তরফে এই অভিযোগ জানিয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। এই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বালাসাহেব ঠাকরের নামের বেআইনিভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। শিবসেনার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘ ওদের যদি ভোট চাইতে হয় নিজেদের বাবার নাম করে ভোট ভিক্ষা করুন।’
উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বে এদিন শিবসেনার জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকও বসে। সেখানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয় শিবসেনা। অন্যদিকে এদিন দুপুরে গুয়াহাটির হোটেলে একনাথ শিন্ডে একটি বৈঠক করেন। সেখানে বালাসাহেবের প্রকৃত অনুগতদের নিজেরে তুলে ধরার চেষ্টা করেন শিন্ডে।
গুয়াহাটিতে যখন শিন্ডে এই কথা বলছেন, সেই সময় শিন্ডের বক্তব্যের সমর্থনে মুম্বইয়ে তাঁকে ‘বালাসাহেবের উত্তরাধিকারী’ উল্লেখ করে একাধিক পোস্টার পড়তেও দেখা গিয়েছে।