যখনই দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি ছাত্র আন্দোলন ব্যতিব্যস্ত হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, তখনই পাল্টা টুকরে টুকরে গ্যাং তত্ত্ব দিয়ে তার মােকাবিলা করেছেন নরেন্দ্র মােদি, অমিত শাহরা। গেরুয়াপন্থীদের বিরােধিতা করা হলেই প্রতিবাদীকে টুকরে টুকরে গ্যাংয়ের সদস্য বানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এমনকী সােশাল মিডিয়াতেও বিজেপি সমর্থকদের যে কোনাে তর্ক বিতর্কে মূল অস্ত্র হিসাবে এই গ্যাংকে হাতিয়ার করা হয়েছে বারবার। কিন্তু এই টুকরে টুকরে গ্যাং কী। কারাই বা এর সদস্য? এই প্রশ্নের উত্তর কারও কাছে আপাতত নেই। এমনকী দৈনন্দিন জীবনেও যারা হরদম এই গ্যাং নিয়ে আলােচনা করেন, তাদের কাছেও এই নিয়ে নানা রকম মত। আর এই টুকরে টুকরে গ্যাং নিয়ে ফাঁপড়ে পড়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
এক সাংবাদিকের করা আরটিআই-এর উত্তর দিতে গিয়ে খড়ের গাদায় সূচ খােজার অবস্থা অমিত শাহের দফতরের। সাকেত গােখেল নামে এক সাংবাদিক গত ২৬ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে আরটিআই করে জানতে চান এই টুকরে টুকরে গ্যাং আসলে কী? কারাই বা এর সদস্য? এই গ্যাং যদি থেকে থাকে, তাহলে সেটিকে আটকানাের জন্য কী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে?
এরপরে সাংবাদিক জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একাধিকবার এই টুকরে টুকরে গ্যাংয়ের কথা তাদের ভাষণে উল্লেখ করেছেন। তাই আমি জানতে চাই এরা কারা? অবশ্যই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে এর উত্তর দিতে হবে। আগামী ২৬ জানুয়ারির মধ্যে জবাব না পেলে আমি চিফ ইনফরমেশন কমিশনারের কাছে যাব।