দাতাদের নাম প্রকাশে কিসের ভয়: চিদম্বরম

প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম (File Photo: IANS)

পিএম কেয়ার্স ফান্ডে পাঁচদিনে ৩০৭৬ কোটি অনুদান সংগৃহীত হয়েছে। ওয়েবসাইটে আপলােড করা অডিট ডাটায় এমনটা প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু কে বা কারা ওই পরিমাণ টাকা অনুদান দিয়েছেন তা প্রকাশ করা হয়নি। দেশ ও বিদেশের কে কে অনুদান দিয়েছেন, তাদের নাম সরকারের তরফে প্রকাশ করা হয়নি। 

অডিট ডাটায় স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, কোভিড সংক্রামিতদের সহায়তা করার জন্য গঠিত পিএম কেয়ার্স ফান্ডে পাঁচ দিনে ৩০৭৬ কোটি টাকা তহবিল জমা পড়েছে। কেন্দ্রের তরফে পিএম কেয়ার্স ওয়েবসাইটে আপলােড করা ডাটায় ২০২০ অর্থবর্ষের ২৭ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সংগৃহীত অনুদানের রেকর্ড আপলােড করা হয়েছে। 

প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম টুইট করে লেখেন, ‘পিএম কেয়ার্স ফান্ডে পাঁচদিনে সংগৃহীত ৩,০৭৬ কোটি টাকার মধ্যে দেশের মধ্যে থেকে ৩,০৭৫.৮৫ কোটি টাকার ও বিদেশ থেকে ৩৯.৬৭ লাখ টাকা অনুদান এসেছে। সংগৃহীত তহবিলের পরিমাণ প্রকাশ করা হলেও দাতাদের নাম প্রকাশ করা হল না। অন্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বা ট্রাস্টগুলাে অনুদানকারীর (যারা কিনা মােটা অঙ্কের টাকা অনুদান দেন) নাম প্রকাশ করতে বাধ্য থাকে। পিএম কেয়ার্স ফান্ডে যে সব উদার ব্যক্তিত্বরা দান করেছেন, তাদের নাম প্রকাশে ভয় কিসের? পিএম কেয়ার্স ফান্ডক কেন এই বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল। বিশাল পরিমান তহবিলের ট্রাস্টি কে সকলে জানেন, কে অনুদান দিয়েছেন তাও সকলে বােঝেন। তাহলে ট্রাস্টি নাম প্রকাশে ভয় পাচ্ছেন কেন’। 


পিএম কেয়ার্স তহবিলের অর্থ জাতীয় বিপর্যয় মােকাবিলা তহবিলে স্থানান্তর করার কোনও প্রয়ােজনীয়তা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কোভিড ১৯ সংক্রমণে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা করতে চলতি বছরে পিএম কেয়ার্স তহবিল গঠন করা হয়। ফলে ওই তহবিলে সংগৃহীত অর্থ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে স্থানান্তর করার আবেদনটি খারিজ করে দিয়ে শীর্ষ কোর্টের তরফে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়, কোভিড ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য গঠিত তহবিলের অর্থ প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে পাঠানাে যাবে না। 

পিএম কেয়ার্স গঠন করা হয়েছে গণ দাতব্য তহবিল হিসেবে। ফলে উক্ত ফান্ডের অর্থ জাতীয় ত্রাণ তহবিলে স্থানান্তর করার জন্য শীর্ষ আদালত কেন্দ্রকে কোনও নির্দেশ দেবেনা। পাশাপাশি বলা হয়, পিএম কোর্স একটি ভিন্ন তহলি। গণ দাতব্য তহবিল হিসেবে ওই তহবিলের বৈধতা রয়েছে। এর সমস্ত অর্থ প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে হস্তান্তর করার কোনও প্রয়ােজন নেই। তবে সরকার যদি সঠিক মনে করে তাহলে পিএম কেয়ার্সের অর্থ বিপর্যয় মােকাবিলা তহবিলে স্থানান্তর করতে পারে, এ ব্যাপারে কোনও বাধা নেই।

কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান চাইলে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিলে অর্থ দান করতে পারেন না। করােনা পরিস্থিতি মােকাবিলায় ২৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি ‘প্রাইম মিনিস্টার সিটিজেন অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যান্ড রিলিফ ইন এমার্জেন্সি সিচুয়েশন’ বা পি এম কেয়ার্স ফান্ড গঠন করেছিলেন।