রাজ্যজুড়ে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে মোট ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার দ্বিতীয় শুনানিতে আদালতে এই তথ্য জানাল রাজ্য। সোমবার রাজ্যের আইনজীবী আদালতে বলেন, চিকিৎসকেরা কাজ না করায় ২৩ জন মারা গিয়েছেন।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে আজ, সোমবার আরজি কর মামলার দ্বিতীয় শুনানি চলছে।
সোমবার আদালতে সিবিআইয়ের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে হাজির ছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। রাজ্যের আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কপিল সিব্বল সহ অন্যান্য আইনজীবীরা। এছাড়া বেঙ্গল ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন সহ অন্যান্য আবেদনকারীদের আইনজীবীরাও এদিন হাজির হন।
২০ অগস্ট এই মামলার প্রথম শুনানিতে আরজি কর কাণ্ডে দুটি রিপোর্ট তলব করে সুপ্রিম কোর্ট। সিবিআইয়ের থেকে তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্ট তলব করে দেশের শীর্ষ আদালত। একই সঙ্গে আরজি করে ভাঙচুরের ঘটনায় রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়ে আদালত। এদিন আদালতে দুটি রিপোর্ট জমা পড়েছে।
প্রথম শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা এই স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ নিয়েছি কারণ এটি কেবল কলকাতার একটি ভয়ঙ্কর ঘটনা নয়, এটি দেশের চিকিৎসক নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়। বিশেষ করে মহিলা চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ও তাদের কাজের সময়ের বিষয়টি রয়েছে। নারী সুরক্ষা দিতেই হবে আমাদের।
আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, এটা শুধু ধর্ষণের ইস্যু আছে বলেই নয়। এটা খুবই উদ্বেগজনক এবং ভুক্তভোগীর নাম সমস্ত মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ছবি দেখানো হয়েছে, এটা উদ্বেগজনক। আমাদের সিদ্ধান্ত হল, ধর্ষণের শিকার মহিলার নাম প্রকাশ্যে প্রকাশ করা যাবে না। এমনকী তার ছবিও এখানে দেখানো হবে না।
গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতাল চত্বরে এক ট্রেনি চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রথমে এই ঘটনার তদন্ত করছিল কলকাতা পুলিশ। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার হাতে পায় সিবিআই।