নির্বাচনের আগে শহরে অস্ত্রপাচারের অভিযােগে ধৃত ৩ ব্যক্তি। বােরখার আড়ালে নাইন এমএম পিস্তল গুঁজে বিহার থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিতেন আন্তঃরাজ্য অস্ত্র কারবারি ইয়াসমিন বেগম। আর কেউ যাতে সন্দেহ না করে তাই তার ‘বস’ ফিরত অন্য বাসে।
রবিবার বিহারের ভাগলপুর থেকে কলকাতায় ফেরার পথে এদের দু’জনকে গ্রেফতার করে কলকাতার গােয়েন্দা পুলিশ। আর এই কেসে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে রাজারহাট চৌমাথা থেকে মহসীন ইসলাম ( ২১ ) নামের এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সূত্রের খবর, ধৃত ব্যক্তি নিজের স্কুটিতে একটি সেভেন এমএম পিস্তল ও তিনটি কার্তুজ লুকিয়ে রেখেছিল। এই কেসে আরও দু’জন অস্ত্র ব্যবসায়ীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে মেটিাবুরুজ এলাকা থেকে সাফিকুল গাজিকে ( ৩৫ ) এবং রাজারহাট থেকে অশান্তি ইসলামকে ( ২১ )।
পুলিশি সুত্র মারফত জানা গিয়েছে মহসিনের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশীপুর এলাকায়। আর সফিকুলের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার গােবরডাঙার রঘুনাথপুরে। আর অশান্তি রাজেহাটেই থাকত । ধৃতদের জেরা করে এই ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এর সঙ্গে এই অস্ত্র তারা কীভাবে শহরে আনছিল, তাও তাদের জেরা করে জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে।
পুলিশি সূত্রে খবর, ধৃত ইয়াসমিন এবং শাহরুখকে জেরা করেই অশান্তি এবং মােহসিনের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। প্রসঙ্গত ইয়াসমিন এবং শাহরুখের কাছ থেকে এর আগেই ৬ টি নাইন এমএম পিস্তল এবং ১২ টি কঁকা ম্যাগাজিন পেয়েছিল পুলিশ। তাদেরকেই জেরা করে বারুইপুর থেকে আরেক অস্ত্রের কারবারি আবদুল গাজিকে ওরফে বাবলুকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
গােয়েন্দারা তদন্তে জানতে পেরেছে হাসনাবাদের বাসিন্দা বাবলু বসিরহাটের কুখ্যাত দুষ্কৃতী বাবু মাস্টারের ভাইপাে। বাবলু ছিল চোরাই অস্ত্রের খদ্দের। ওই চক্রটিকে বাবু মাস্টার বুলেট সরবরাহ করত বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।