আমরা জিতবোই : সোনিয়া গান্ধি

সোনিয়া গান্ধি (File Photo: IANS/AICC)

আগামিকাল (বুধবার) মহারাষ্ট্রে আস্থা ভােটের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের ওই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন কংগ্রেস সভানেত্রী সােনিয়া গান্ধি। আমরাই জিতবাে। মহারাষ্ট্রের আস্থা ভোট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে বলেন তিনি। শরদ পাওয়ারের ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি সােনিয়া গান্ধির দল কংগ্রেস তাদের মতাদর্শ বিরােধী দল শিবসেনার সঙ্গে জোট বেঁধে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের চেষ্টা করছে, সেই লক্ষ্যে তাঁরা একটি নতুন জোটও তৈরি করেছে, যার নামকরণ করা হয়েছে ‘মহারাষ্ট্র বিকাশ আঘাদি’।

মহাজোটের কাছে ১৬২ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে বলে দাবি করেছে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস, যেখানে মহারাষ্ট্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্যে ১৪৫ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়ােজন। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট আস্থা ভােটের বিষয়ে আদেশ দেওয়ার পরে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের বিষয়ে তাই আশাবাদী ‘মহারাষ্ট্র বিকাশ আঘাদি’ অর্থাৎ ওই ৩ দলের জোট। এমন পরিস্থিতি যদি তৈরি হয় যে, আস্থা ভোট করাতে দেরি হলে ঘােড়া কেনাবেচার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে গণতান্ত্রিক মূল্যবােধ রক্ষায় আদালতের দিক থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া আশু দায়িত্ব হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতার পরীক্ষা, সবচেয়ে কার্যকর হতে পারে, বলে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

বুধবার বিকেল ৫ টার মধ্যে সমস্ত নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথ গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারিকে নির্দেশ দিয়েছে। এর পরেই আস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে তিন বিচারকের বেঞ্চ জানিয়েছে। কংগ্রেস, শিবসেনা এবং ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি সম্মিলিতভাবে এনসিপির অজিত পাওয়ারকে সঙ্গে নিয়ে যেভাবে রীতিমতাে এক গােপনীয় শপথ অনুষ্ঠানে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল।


এদিকে কিছুদিন আগেই এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে সেচ কেলেঙ্কারি সহ মােট ৯ টি দুর্নীতি মামলার তদন্ত বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মঙ্গলবার সেই সিদ্ধান্তকেও চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট।

গত শনিবারই এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের ভাইপাে অজিত পাওয়ার বিজেপির পাশে এই দাঁড়ানােয় শনিবার সকাল ৮টা নাগাদ তাঁকে পাশে নিয়ে নতুন সরকার গড়েন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। শুধু তাই নয়, গােটা দেশ অবাক হয়ে দেখে, অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে দুনীতির তদন্তের নির্দেশ দেওয়া বিজেপিই তাঁকে মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে আসনী করেছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই একে-একে দুই করে শীর্ষ আদালতের কাছে কেন অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে সেচ দুর্ননিতি মামলার তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দ্বারস্থ হয় মহারাষ্ট্রের ৩ দলের শিবসেনা- এনসিপি-কংগ্রেস জোট।