মহাসংকটে মধ্যপ্রদেশ সরকার। খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে ময়দান ছাড়তে রাজি নন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ । তাঁরা লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। তাঁর বাসভবনে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠকে তিনি যুদ্ধের প্রস্তুতি সেরে রাখছেন বলে খবর।
দলীয় বিধায়কদের উদ্দেশে কমল নাথ বলেছেন, তাঁরা লড়াই চালিয়ে যাবেন এবং বিজেপি’কে আস্থা ভােটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের চ্যালেঞ্জ জানাবেন। এমনই দাবি করেছে সুত্র। প্রাক্তন পিআর মন্ত্রী পিসি শর্মা দাবি করেছে, ইস্তফাগুলি সব ভুয়াে। তিনি নাকি বলেছেন, ‘চিন্তা করবেন না। পিকচার আভি বাকি হ্যায়।’
সূত্রের মারফৎ জানা গিয়েছে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের বৈঠকে হাজির ছিলেন ৯৪ জন দলীয় বিধায়ক ও চার নির্দল বিধায়ক। ওই বৈঠকে ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ দিগ্বিজয় সিংও। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে বৈঠক। বৈঠকের পর ডেপুটি স্পিকার হীনা কারভে জানান, ‘আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে এবং একজোট হয়ে লড়াই করতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতি হয়তাে প্রতিকূল কিন্তু কারও ভয়ের কোনও কারণ নেই। শীর্ষ এক নেতা আমাদের ঠকিয়েছেন।’
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার প্রসঙ্গে জিগগেস করা হলে তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসের বৈঠকে আর জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার বিষয়ে আলােচনা হবে না। সিন্ধিয়াকে নিয়ে কোনও কথা হয়নি। তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে যখন এই বৈঠক চলছে, তখন বাইরে কমল নাথের পক্ষে ও সিন্ধিয়ার নিন্দায় চলছে শ্লোগান। দলের সদর দফতরে কর্মী সমর্থকরা সিন্ধিয়ার নেমপ্লেট খুলে তা পায়ে পিষে ভেঙে ফেলেছে।
মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের তরফে টুইটে বলা হয়েছে, ‘সিন্ধিয়ার ১৮ বছরের রাজনৈতিক কেরিয়ারে বছর কংগ্রেস তাঁকে সাংসদ করেছে। দু’বার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন। চিফ হুইপ, জাতীয় সাধারণ সম্পাদক, উত্তরপ্রদেশের ইনচার্জ, কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য ও নির্বাচনী প্রচারের প্রধান হয়েছেন। তবু মােদির শাহের ছায়ায় যেতে হল?’