আমরা সবসময়েই ধর্মপালনের স্বাধীনতার পক্ষে, কানোয়ার যাত্রার বিতর্কিত নির্দেশিকা নিয়ে প্রতিক্রিয়া আমেরিকার

ওয়াশিংটন, ২৫ জুলাই – কানোয়ার যাত্রার বিতর্কিত নির্দেশিকা নিয়ে এবার প্রতিক্রিয়া জানাল আমেরিকা। সেদেশের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে , কানোয়ার যাত্রার নির্দেশিকা নিয়ে ভারতের আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। প্রত্যেক ধর্মাবলম্বীর প্রতি সমান আচরণের বিষয়টিকে ভারত যেন গুরুত্ব দেয়। আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলারের সাংবাদিক বৈঠকে বুধবার বিষয়টি উত্থাপন করে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে পাক সংবাদমাধ্যম। যদিও মিলার স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, ভারতের দু’টি রাজ্যের সরকারের ওই নির্দেশ সম্পর্কে ওয়াশিংটন ওয়াকিবহাল। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট যে ওই বিতর্কিত নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে, তা-ও আমেরিকার অজানা  নয়।

কানোয়ার যাত্রা পথে খাবার বিক্রেতাদের নাম লিখতে বাধ্য করা যাবে না বলে ২২ জুলাই উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড সরকারের নির্দেশিকায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়ে জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি হৃষীকেশ রায় এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চ উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড সরকারকে শুক্রবারের মধ্যে নোটিস দিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছে। ওই দিনই মামলার পরবর্তী শুনানি। কিন্তু ওয়াশিংটনে পাক সংবাদমাধ্যম মিলারের সাংবাদিক বৈঠকে সেই তথ্যের উল্লেখ না করে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে ধর্মাচরণের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র মিলার  সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ‘‘“আমরা এই সংক্রান্ত রিপোর্ট দেখেছি। তবে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে, অর্থাৎ এখনও এই নির্দেশ কার্যকর হয়নি। তবে আমরা সবসময়েই ধর্মপালনের স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করে থাকি। এই স্বাধীনতা যেন রক্ষা করা হয়, সেদিকেও নজর রাখে আমেরিকা ।”


 প্রসঙ্গত, গত ২২ জুলাই থেকে কানোয়ার যাত্রা শুরু হয়েছে। তার আগেই পুণ্যার্থীদের যাত্রাপথের সমস্ত খাবার বিক্রেতাকে দোকানে নাম লেখার নির্দেশ দিয়েছিল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামীর সরকার। একই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে মধ্যপ্রদেশেও।  এই নির্দেশের মূল উদ্দেশ্য ধর্মীয় বিভাজন আরও স্পষ্ট করে তোলা, তেমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। তবে এই বিতর্কিত সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।