একেবারেই হতাশ নই। বালাসাহেব ঠাকরে, যিনি জীবনে বহু জয়-পরাজয়কে প্রত্যক্ষ করেছেন, তাঁর শিব সৈনিকরা লড়াই করে যাবে। মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে হতাশাজনক ফলের পর এই মন্তব্য করলেন শিব সেনা (উদ্ধবপন্থী) সাংসদ সঞ্জয় রাউত।
সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, আমরা একেবারেই হতাশ নই। আমরাই সেই মানুষ, যাঁরা লড়াই করছি। আমরা বালাসাহেব ঠাকরের শিব সৈনিক। বালাসাহেব ঠাকরেও তাঁর জীবনে বহু জয়-পরাজয় দেখেছেন। আমরা পরাজিত হয়েছি বলে একেবারেই কষ্ট পাচ্ছি না। মহারাষ্ট্রে চলা অপশাসনের বিরুদ্ধে আমরা লড়ে যাব।
তিনি বলেন, মহারাষ্ট্রের মানুষেরা এই ফলাফলে দুঃখ পাচ্ছে। কোথাও কি আপনারা উৎসব দেখতে পাচ্ছেন? সঞ্জয়ের কথায়, এই ফলাফলে মহারাষ্ট্রের মানুষ দুঃখিত। উৎসব কোথায়? বিজেপি অফিসে বা একনাথ শিণ্ডের বাসভবনে কিছু একটা হতে পারে। ফলাফল এসেছে, কিন্তু কীভাবে এটি ঘটেছে তা নিয়ে জনগণ এখনও অবাক।
রাউত বলেন, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি মহারাষ্ট্রে নয়, গুজরাতের মোদী স্টেডিয়ামে হওয়া উচিত। শিব সেনা সাংসদের কথায়, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে আগামী কাল। মহারাষ্ট্রে এটি হওয়া উচিত নয়। এই সরকার গুজরাত লবি এনেছে, ব্যবসায়ী সমিতি এনেছে, তাই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান গুজরাতের মোদী স্টেডিয়ামে হওয়া উচিত। শিবাজি পার্কে এটা করা হলে তা ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের অপমান হবে। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে এটা করলে তার সামনে শহিদদের স্মৃতিসৌধ রয়েছে, তাঁদের অপমান করা হবে। তাই সেরা জায়গা গুজরাতের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম।
ক্ষমতাসীন মহায়ুতি জোট মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছে। বিজেপি মহায়ুতিকে নেতৃত্ব দিয়েছিল। জোটসঙ্গী শিবসেনা এবং এনসিপি-ও ভালো ফল করেছে। মহারাষ্ট্রে বিজেপি ১৩২টি, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা ৫৭টি এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি ৪১টি আসনে জয়ী হয়েছে।
মহারাষ্ট্রের আসনসংখ্যা ২৮। মহা বিকাশ অঘাধি (এমভিএ)-র শরিকদের মধ্যে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা (ইউবিটি) ২০টি, কংগ্রেস ১৬টি এবং শরদ পওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি (এসসিপি) মাত্র ১০টি আসন জিতেছে।