• facebook
  • twitter
Monday, 16 September, 2024

রাষ্ট্রপতির দরবারে বোস, ধনকড়ের সঙ্গেও সাক্ষাৎ

জল্পনা বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে বিশদে আলোচনা আরজি কর নিয়ে যখন উত্তপ্ত সুপ্রিম কোর্টের অন্দরমহল ঠিক তখনই  রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন পশ্চিম বঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বস।  সোমবারই দিল্লি উড়ে গিয়েছেন রাজ্যপাল। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার আগে সকালে  তার আগে অবশ্য উপরাষ্ট্রপতি তথা বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকের সম্ভাবনা

জল্পনা বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে বিশদে আলোচনা

আরজি কর নিয়ে যখন উত্তপ্ত সুপ্রিম কোর্টের অন্দরমহল ঠিক তখনই  রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন পশ্চিম বঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বস।  সোমবারই দিল্লি উড়ে গিয়েছেন রাজ্যপাল। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার আগে সকালে  তার আগে অবশ্য উপরাষ্ট্রপতি তথা বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও। এদিনের সাক্ষাৎকারে বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে বিশদে আলোচনা করেছেন রাজ্যপাল বলেই মত রাজ্যের রাজীনীতিক মহলের।

যদিও তার এই দিল্লি সফর নিয়ে কোনো কিছুই জানাতে চাননি রাজ্যপাল বোস। কী কারণে তাঁর এই সফর তা স্পষ্ট করা হয়নি রাজভবন তরফেও। এমনকী এই সফরে তিনি যে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তারও কোনও পূর্বাভাষ ছিল না। যেটুকু শোনা যাচ্ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। তবে মঙ্গলবার সকালে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। তাঁর এই সফরে প্রাথমিক ভাবে রাজনৈতিক মহলের অনুমান, বাংলার বর্তমান পরিস্থিতি এবং আর জি করের ঘটনা নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে রিপোর্ট দিয়েছেন রাজ্যপাল। এবং এই বিষয়ে সরাসরি তাঁর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। পাশাপাশি আরজি কর কাণ্ডের পর রাজভবনে খোলা হয়েছে মোবাইল কন্ট্রোলরুম। যার নম্বর হল, 03322001641 এবং 92890 10682। যে কোনও রকম সাহায্যের জন্য এই নম্বরে ফোন করা যাবে বলে জানানো হয়েছে।

এই আবহে আজ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে পারেন রাজ্যপাল। নারীর নিরাপত্তা নিয়ে এর আগে একাধিকবার প্রকাশ্যেই নিজের বক্তব্য রেখেছেন সিভি আনন্দ বোস। মহিলাদের নিরাপত্তায় কোনওরকম সমঝোতা করা যাবে না, বারবার বার্তা দিয়েছেন। আরজি করের ঘটনার পর এবার রাষ্ট্রপতি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে কোন আর্জি নিয়ে হাজির হচ্ছেন রাজ্যপাল, সেদিকেই নজর সকলের।

গত বৃহস্পতিবার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেও গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তিনি জানিয়েছিলেন, “আমি হাসপাতালে গিয়ে দেখেছি আন্দোলনকারীরা সুবিচারের দাবিতে সরব। প্রায় প্রত্যেকে তাঁদের পাশে আছে। আমাদের উচিত তাঁদের সুবিচার পাওয়ার বন্দোবস্ত করা।” রাজ্যপালের সেই বার্তার পর এবার তাঁর দিল্লি সফর এবং রাষ্ট্রপতি সাক্ষাৎ যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

আরজি করে এক ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ঘিরে উত্তাল গোটা রাজ্য। প্রতিবাদে, বিক্ষোভে পথে নেমেছে স্কুল কলেজের পড়ুয়া থেকে আইনজীবী, ডাক্তার, অভিনেতা অভিনেত্রী, সঙ্গীতশিল্পীরা। বিভিন্ন স্তরের মানুষ নিজেদের মতো করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। সকলেরই একটাই দাবি, বিচার পাক নির্যাতিতার পরিবার।

টানা কর্মবিরতির পথে হাঁটছেন ডাক্তাররা। নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরাও একই পথে। কার্যত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে। সিনিয়র চিকিৎসকরা পরিষেবা দিলেও, সরকারি হাসপাতালগুলিতে যে সংখ্যক রোগী থাকেন, সেই তুলনায় সিনিয়র চিকিৎসকরা একা পরিষেবা দিলে তা কিছুই না।