• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

জলের হাহাকার, অপচয় রুখতে হুলিয়া জারি বেঙ্গালুরু জুড়ে

শুকিয়ে কাঠ উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নলকূপও বেঙ্গালুরু, ৭ মার্চ– দেশের সিলিকন ভ্যালি বেঙ্গালুরু নিদারু জলকষ্টে ভুগছে৷ কোথাও জল পাওয়া যাচ্ছে না৷ এমনকী বোরওয়েলগুলিও শুকিয়ে গিয়েছে৷ সারাদিনে জলের চাহিদা মেটাতে ভরসা শুধু জলের ট্যাঙ্কারের, যা সুযোগ পেয়েই ৫ থেকে ১০ গুণ বেশি টাকা নিচ্ছে৷ চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই জলসঙ্কট চরমে উঠেছে বেঙ্গালুরুতে৷ পানীয় জল তো দূর, নিত্যদিনের

শুকিয়ে কাঠ উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নলকূপও
বেঙ্গালুরু, ৭ মার্চ– দেশের সিলিকন ভ্যালি বেঙ্গালুরু নিদারু জলকষ্টে ভুগছে৷ কোথাও জল পাওয়া যাচ্ছে না৷ এমনকী বোরওয়েলগুলিও শুকিয়ে গিয়েছে৷ সারাদিনে জলের চাহিদা মেটাতে ভরসা শুধু জলের ট্যাঙ্কারের, যা সুযোগ পেয়েই ৫ থেকে ১০ গুণ বেশি টাকা নিচ্ছে৷ চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই জলসঙ্কট চরমে উঠেছে বেঙ্গালুরুতে৷ পানীয় জল তো দূর, নিত্যদিনের কাজের জন্যও জল পাওয়া যাচ্ছে না৷

কর্ণাটকের রাজধানী শহরে গত কিছুদিন ধরেই জলসঙ্কট এতটাই তীব্র আকার ধারণ করেছে যে জলের পরিবর্তে নানান উপায় খুঁজতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন৷ এ বছর সঙ্কট সবথেকে বেশি তীব্র হয়ে দেখা দিয়েছে৷ এলাকায় থাকা গভীর নলকূপগুলিও শুকিয়ে যাচ্ছে৷ বর্তমানে শহরের বাসিন্দাদের বলা হয়েছে, থালা-বাটি, গ্লাস-চামচে না খেয়ে বাজার থেকে কেনা পরিবেশবান্ধব অর্থাৎ সহজে নষ্ট হওয়া থালা-চামচে খাওয়া শুরু করুন৷ বিভিন্ন আবাসনগুলির কমিটি জলের কষ্টের কথা মাথায় রেখে নিজেরাই জল দিয়ে হাত-মুখ ধোওয়া বন্ধ করে তার জায়গায় ভিজে টিসু্য পেপার ব্যবহার করতে শুরু করেছে৷

এমনকী শহরের সাধারণ মানুষের জলকষ্টের কথা মেনে নিয়ে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার পর্যন্ত বলেছেন, আমার বাডি়র নলকূপও শুকিয়ে গিয়েছে৷ বেঙ্গালুরুতে অনেক বাডি়তে এখনও পাতকুয়ো এবং টিউবওয়েল আছে৷ সেসবের অধিকাংশই শুকিয়ে খটখট করছে৷

বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য বলেন, ‘বেঙ্গালুরুতে ভয়ঙ্কর জল সঙ্কট দেখা দিয়েছে৷ বিশেষজ্ঞরা সরকারকে সতর্ক করেছিল যে বর্ষাও এই খামতি পূরণ করতে পারবে না, কিন্ত্ত সরকার কোনও পদক্ষেপ করেনি৷ একশোরও বেশি অ্যাপার্টমেন্টে এক বিন্দু জল নেই৷ শহরের ৫০ শতাংশেরও বেশি বোরওয়েল শুকিয়ে গিয়েছে৷ সরকার বলছে ট্যাঙ্কার দিয়ে জল সরবরাহ করা হচ্ছে, কিন্ত্ত এই ব্যবস্থা করে আরও সমস্যা তৈরি করেছে৷’

এই অবস্থায় আবাসিক কল্যাণ সমিতিগুলি পাড়ায় পাড়ায় জল অপচয়ের বিষয়ে হুলিয়া জারি করেছে৷ এমনিতেই জল ব্যবহারের উপর রেশনিং শুরু হয়ে গিয়েছে৷ শহরের বাসিন্দাদের চারচাকা-দু’চাকা গাডি় ধোওয়া বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ শহরের সমস্ত সুইমিং পুল আপাতত বন্ধ৷ একটি আবাসন কমিটির প্রেসিডেন্ট জানান, বাসিন্দাদের আমরা পন্থায় জল সঞ্চয়ের পরামর্শ দিয়েছি৷

বেসরকারি জলের ট্যাঙ্কার এনে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে৷ কিন্ত্ত সঙ্কট যেহেতু খুবই তীব্র, তাই জলের গাডি়ও মিলছে না সময়ে৷ অন্য একটি আবাসন কমিটি জল অপচয় রুখতে তা দেখাশোনার জন্য নিরাপত্তা রক্ষীকে দায়িত্ব দিয়েছে৷ বেঙ্গালুরু শহরের পুরসভার জল সরবরাহ গরম পড়তে না পড়তেই মুখ থুবডে় পডে়ছে৷ তাই ওই আবাসন কমিটি ঠিক করেছে, জল অপচয় ২০ শতাংশ না কমালে ওই ফ্ল্যাট মালিকের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে৷