ত্রিপুরায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ নিয়ে ব্যপক গোলমাল

ত্রিপুরায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ নিয়ে ব্যপক গোলমাল

ইভিএমে ভোট কতটা স্বচ্ছ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল সদ্য সমাপ্ত ত্রিপুরা ভোট। এর আগে দেশে যত নির্বাচনই হয়েছে, ইভিএমে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে এমন অসুবিধের সম্মুখীন হতে হয়নি ভোটারদের।

এই মেশিনে ত্রিপুরায় ভোও গ্রহণের পর্বে ব্যপক গোলযোগের কারণে ভোটারদের ব্যপক হয়রান হতে হল। এই কারণে নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করে ভোটপর্ব গড়ায় রাত পর্যন্ত। ঘটনার ব্যপকতায় জাতীয় নির্বাচন কমিশন প্রবল অস্বস্তিতে।

বেশ কিছু বুথে সিপিএম এবং বিজেপি পুররায় ভোট গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। কমিশনই স্বীকার করেছে, ৩১৭৪ টি বুথের মধ্যে ৫১৯ বুথে এই মেশিনে মারাত্মক যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়েছে।


স্বাভাবিক ভাবের লাইনে দাঁড়ানো অসংখ্য ভোটার চরম অস্বস্তির কবলে পড়েছেন। জানা গেচগে, প্রতিটি বুথেই ইভিএম নিয়ে কিছু না কিছু গোলমাল হয়েছে।

মেশিনে গন্ডগোল হতে পারে এই আশঙ্কায় ১৯০ বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারের দল রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিসে অপেক্ষারত ছিলেন। ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার সাথে সাথে একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়তে থাকলে তারা ছুটে যান কাজে।

এখানে উল্লেখ্য, বিরোধীরা এর আগে ইভিএম মেশিনে ভোট স্বচ্ছ হয় না বলে পুরনো ব্যলট পেপারে ভোট করতে কমিশনের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেছিলেন।

তাতে গুরুত্ব না দিতে কমিশন ইভিএম মেশিনের ত্রুটি বের করার জন্য চ্যালেঞ্জ ছঁড়ে দেয়। কমিশন পুরনো ব্যবস্থায় ফিরে যেতে অনীহা দেখায় বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে।

ত্রিপুরায় ভোট গ্রহণ নিয়ে যে কান্ড ঘটল, তাতে বিরোধীরা এই মেশিনে ভোট গ্রহণ নিয়ে আন্দোলনের রসদ খুঁজে পেলেন। উরররপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় অখিলেশ যাদব এবং মায়াবতী ভোট নিয়ে স্বচ্ছতার প্রশ্ন তুলেছিলেন। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীরা কি অবস্থান নেন তাই এখন দেখার।