প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট আইনজীবী তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রাম জেঠমালানি । রব্বিার সকালে দিল্লিতে নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।
তাঁর মৃত্যুতে শােকের ছায়া নেমে আসে রাজনীতি ও আইনমহলে। লােধি রােড শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। তাঁর শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এবং দীর্ঘদিনের সহকর্মী বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।
তাঁর মৃত্যুতে শােকজ্ঞাপন করেছেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, প্রাক্তন বিচারপতি স্বতন্দ্র কুমার, কুরিয়েন জোসেফ, বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব, শরদ যাদব, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উপ মুখ্যমন্ত্রী মনীশ শিলােদিয়া প্রমুখ।
বাজপেয়ী সরকার আমলে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী ছিলেন জেঠমালানি । দীর্ঘ সাত দশক ধরে আইনজীবী কেরিয়ারে ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। সবচেয়ে বেশিদিন আইন পেশায় থাকার রেকর্ডও তাঁর দখলে। ক্ষুরধার মস্তিষ্ক ছিল তাঁর। রাজীব গান্ধি হত্যা মামলা জেসিকা লাল হত্যা মামলা, হর্ষদ মেহতা দুর্নীতি মামলা, আফজল গুরু মামলার মতাে বহু হেভিওয়েট মামলায় দক্ষ আইনজীবীর ভূমিকা পালন করেছিলেন রাম জেঠমালানি ।
অবিভক্ত ভারতে ১৯২৩ সালে অধুনা পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের শিকারপুরে রাম বুলাদ জেঠমালানির জন্ম। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি আইনে ডিগ্রি পেয়ে ওকালতি শুরু করেন। বরাবরই বিতর্কের কেন্দ্রে থেকেছেন তিনি।
১৯৫৯ সালে প্রথম তিনি আলােচনার কেন্দ্রে আসেন। কে এম নানাবতী বনাম স্টেট অব মহারাষ্ট্র মামলায় ওয়াই ভি চন্দ্রচূড়ের সঙ্গে লড়েছিলেন তিনি। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী তথা বিশিষ্ট আইনজীবী রাম জেঠমালানির রবিবার সকালে দিল্লিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তাঁর মৃত্যুতে গভীর শােক প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তথা অল ইন্ডিয়া লিগাল এড ফোরামের সাধারণ সম্পাদক জয়দীপ মুখােপাধ্যায়। এদিন গভীর শােক প্রকাশ ব্যক্ত করে জয়দীপবাবু বলেন, একজন বিশিষ্ট আইনজীবীকে হারাল দেশ। রাম জেঠমালানির নাম দেশের আইনের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। বিভিন্ন সময়ে তাঁর জুনিয়র হিসাবে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। অনেক হাইপ্রােফাইল কেস তিনি লড়েছেন। আইনজীবী হিসাবে তাঁর খ্যাতি দেশের বাইরেও বিস্তৃত ছিল। এদিন প্রয়াত রাম জেঠমালানিকে শ্রদ্ধা জানাতে দিল্লিতে যান জয়দীপবাবু।