মোদিকেই মান্যতা, চরম দারিদ্র আর কেউ রইল না দেশে

দিল্লি, ২ মার্চ– এই খবর শুনে ভারতীয়দের মুখে হাসি ফুটে উঠবে৷ ভারত চরম দারিদ্রতা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে৷ এমনটাই বলছে সাম্প্রতিকে প্রকাশিত একটি সমীক্ষার রিপোর্ট৷ রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ভারত ধীরে ধীরে দারিদ্রতার সীমার উপরে উঠে আসছে ভারত৷

২০২২-২৩ অর্থবর্ষের কনজামশন এক্সপেডিচার ডেটা বা ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে৷ বিগত ১০ বছরে এটাই প্রথম সমীক্ষা ভিত্তিক দারিদ্রতার হিসাব৷ এর আগে ২০১১-১২ সালে শেষবার সমীক্ষা হয়েছিল৷ সেই রিপোর্ট বলছে, মোদি আমলেই এটা সম্ভব হয়েছে৷ গরিবি শেষ করতে একাধিক বড় পদক্ষেপ করেছে মোদি সরকার৷ রিপোর্ট সম্প্রতিই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হিসেবকেই মান্যতা দিয়েছে৷ যেখানে বলা হয়েছে, ১০ বছরে ২৫ কোটিরও বেশি মানুষকে দারিদ্রসীমার বাইরে এনেছে মোদি সরকার৷

বৃদ্ধি- ২০১১-১২ সাল থেকে রিয়েল পার ক্যাপিটা কনজামশন গ্রোথ বা আসল জনপ্রতি ব্যয় ক্ষমতা ২.৯ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে৷ গ্রামাঞ্চলে বার্ষিক খরচ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়েছে ৩.১ শতাংশ, সেখানেই শহরাঞ্চলের ২.৬ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে৷ গ্রামাঞ্চলে ব্যয়ের ক্ষমতা শহরাঞ্চলের তুলনায় বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে৷


অসাম্য- গ্রাম ও শহরাঞ্চলে সামাজিক অসাম্য ব্যাপক হ্রাস পেয়েছে৷ গ্রামাঞ্চলে গিনির হার ৩৬.৭ শতাংশ থেকে কমে ৩১.৯ শতাংশে পৌঁছেছে৷ গ্রামাঞ্চলে গিনি ২৮.৭ শতাংশ থেকে কমে ২৭ শতাংশে পৌঁছেছে৷

দারিদ্রতা- উচ্চ বৃদ্ধি ও অসাম্য হার হ্রাস পাওয়াতেই দেশের দারিদ্রতা হ্রাস পেয়েছে৷ হেডকাউন্ট পভার্টি রেশিও বা দারিদ্রতার হার ২০১১ সালে ছিল ১২.২ শতাংশ, ২০২২-২৩ সালে তা কমে ২ শতাংশে পৌঁছেছে৷ গ্রামে দারিদ্রতার হার ২.৫ শতাংশে কমে দাঁডি়য়েছে৷ শহরাঞ্চলে দারিদ্রতার হার ১ শতাংশে নেমে দাঁডি়য়েছে৷
প্রসঙ্গত, এই পরিসংখ্যানে সরকারের দেশের দুই তৃতীয়াংশ জনগণকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া এবং সরকারি স্বাস্থ্য ও শিক্ষা পরিষেবা যোগ করা হয়নি৷