বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায় ৩০ সেপ্টেম্বর ঘােষণা হতে চলেছে। প্রায় তিন দশক ঝুলে থাকার পর এই মামলার রায় অবশেষে ঘােষণা করা হবে। বুধবার শুনানি প্রক্রিয়া শেষে একথা জানায় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। ওই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদবানি, উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং, মুরলীমনােহর যােশী, উমা ভারতী, বিনয় কাটিয়ার, সাক্ষী মহারাজের মতাে বিজেপি নেতা-নেত্রীরা।
এই মামলার রায় ঘােষণার দিন মােট ৩২ জন অভিযুক্তকে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচার চলাকালীন মােট ৩৫৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে আদালত। এই মামলায় মােট অভিযুক্ত ছিলেন ৪৯ জন। বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীনই ১৭ জনের মৃত্যু হয়। এই মামলায় আগেই সব অভিযুক্তের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছিল।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয়। দুটি অভিযােগ দায়ের হয় অযােধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসকে কেন্দ্র করে। এর মধ্যে একটি ছিল বাবরি মসজিদ ধ্বংসের চক্রান্তের অভিযােগ, অন্যটি ওই কাণ্ডে প্ররােচনা দেওয়ার। লখনউ আদালতে মসজিদ ধ্বংসের ষড়যন্ত্রের মামলার বিচার চলছিল। সেই সঙ্গে রায়বেরিলি আদালতে চলছিল করসেবকদের প্ররােচনা দেওয়ার মামলার শুনানি।
কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট দুটি মামলাকে একত্রিত করে লখনউতে একটি বিশেষ আদালত গঠন করে দ্রুত শুনানির জন্য নির্দেশ দেয়। এরপর সিবিআই আদালত ২৩ জুলাই যােশীর বয়ান রেকর্ড করে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে। রেকর্ড করা হয় আদবানির বয়ানও।
গত বছর নভেম্বরে অযােধ্যায় রামমন্দিরের নির্মাণের পক্ষেই রায় দেয় শীর্ষ আদালত। গত ২৮ বছর ধরে ঝুলে থাকা এই মামলার অবশেষে রায়দান ৩০ সেপ্টেম্বর।