লখিমপুর খেরিতে কৃষক হত্যা! অভিযুক্তদের শাস্তি চেয়েছিলেন বিজেপি’র তিনবারের সাংসদ বরুণ গান্ধি। বৃহস্পতিবার দেখা গেল বিজেপি’র ৮০ সদস্যের জাতীয় কর্মসমিতি থেকে বরুণ ও তার মা মানেকা গান্ধির নাম বাদ গিয়েছে।
বিজেপি অবশ্য বলেছে, বিশেষ কোনও কারণে তাদের নাম বাদ যায়নি। জাতীয় কর্মসমিতিতে রুটিনমাফিক কিছু রদবদল হয়েছে মাত্র। অপর এক বিজেপি নেতা কিন্তু ভিন্ন সুরে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশ থেকে অন্তত ১০ জন নেতা বিজেপি’র কর্মসমিতিতে জায়গা পেয়েছেন। আমরা নানা বিষয়ে বরুণের মন্তব্য শুনেছি। তারপরেই পার্টি যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিয়েছে। আরও কয়েকজন বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, পিলভিটের সাংসদ বরুণ গান্ধির মন্তব্যগুলি বিজেপি ভালোভাবে নেয়নি।
এক বিজেপি নেতা বলেন, লখিমপুর খেরির ঘটনার যাবতীয় দায় বরুণ আমাদের ওপরেই চাপাতে চাইছেন। আমরা তদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি। আমাদের দল বলেছে, ঘটনাটি দুঃখজনক।
বিজেপি’র মুখপাত্র হরিশ্চন্দ্র শ্রীবাস্তব বলেছিলেন, রবিবারের সেই হিংসার পেছনে রয়েছে খালিস্তানিরা। বরুণ গান্ধি কিন্তু সম্পূর্ণ তার বিপরীত মন্তব্য পেশ করেন। তার মতে, কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর অপরাধমূলক অবহেলার জন্যই হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল।
বরুণের বক্তব্য বিজেপির মুখপাত্র লখিমপুরের ঘটনায় যে মন্তব্য করেছে তা ঘৃণাসূচক ও নিষ্ঠুর। তার মতে, লখিমপুরের মানুষ শান্ত হয়ে আছেন । কিন্তু এই ধরনের মন্তব্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
বরুণ বলেন, একটি সম্প্রদায়ের মানুষ কয়েক প্রজন্ম ধরে দেশের স্বার্থে প্রাণ দিয়ে এসেছেন। আমরা যদি তাদের সম্পর্কে ঘৃণাসূচক মন্তব্য করি তাহলে ঈশ্বর না করুন, শান্তিপূর্ণ মানুষের মনেও প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
পরে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমি যে খবর পেয়েছি তাতে মনে হয় কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠী অপরাধ করেছিল। আমি নিশ্চিত তারা গ্রেফতার হবে।