• facebook
  • twitter
Thursday, 21 November, 2024

উত্তরাখণ্ডের বনাঞ্চল দাবানলের গ্রাসে , সুপ্রিম কোর্ট তলব করল রাজ্যের মুখ্যসচিবকে 

দেরাদুন, ১৬ মে – উত্তরাখণ্ডে দাবানল নিয়ন্ত্রণে সরকারের গড়িমসিতে অসন্তুষ্ট সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে তলব করেছে শীর্ষ আদালত। শুক্রবার তাঁকে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে। বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি এসভিএন ভাট্টি, বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ অসন্তুষ্ট এই কারণেও যে, দাবানল নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে বন দপ্তরের কর্মচারীদের অনেককেই ভোটের ডিউটি দেওয়া হয়েছে। যদিও খোদ নির্বাচন কমিশন ওই কর্মচারীদের

দেরাদুন, ১৬ মে – উত্তরাখণ্ডে দাবানল নিয়ন্ত্রণে সরকারের গড়িমসিতে অসন্তুষ্ট সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে তলব করেছে শীর্ষ আদালত। শুক্রবার তাঁকে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে। বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি এসভিএন ভাট্টি, বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ অসন্তুষ্ট এই কারণেও যে, দাবানল নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে বন দপ্তরের কর্মচারীদের অনেককেই ভোটের ডিউটি দেওয়া হয়েছে। যদিও খোদ নির্বাচন কমিশন ওই কর্মচারীদের ভোটের কাজে অব্যাহতি দিয়েছিল। দাবানল নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্র মোটে ৩.১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করাতেও আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।

উত্তরাখণ্ডের বনাঞ্চল গত কয়েক মাস ধরেই ভয়াবহ দাবানলের গ্রাসে। বিচারপতি মেহতা উল্লেখ করেন, সংবাদপত্র সূত্রে জানা যাচ্ছে, দেশের বনাঞ্চলের ৩০০টি দাবানলের মধ্যে ২৮০টিই উত্তরাখণ্ডের। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। উত্তরাখণ্ডের বন দপ্তরে প্রচুর শূন্যপদ নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত।এই পরিস্থিতিতে কর্মচারীদের একাংশকে ভোটের ডিউটিতে পাঠানোয় চরম ক্ষুব্ধ আদালত। জবাব পেতে মুখ্যসচিবকে তলব করা হয়েছে।
 
উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফে জানানো হয়, এই মুহূর্তে রাজ্যের বনাঞ্চলের তিনটি আগুনের গ্রাসে রয়েছে, যদিও পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে কর্মী-ঘাটতির বিষয়টি মেনে নেয় সরকারপক্ষ। সরকারপক্ষের আইনজীবীর দাবি, গত বছর ১৫০০ ফরেস্ট গার্ড নিয়োগ করা হয়েছে। চলতি অর্থবর্ষে রাজ্য পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে শূন্যপদে আরও নিয়োগের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
 
বন দপ্তরের কর্মচারীদের একাংশকে ভোটের ডিউটি দেওয়া নিয়ে রাজ্যের ব্যাখ্যা, প্রথম দফার ভোটে কিছু কর্মচারীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকে তাঁরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাজই করছেন।যদিও এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নয় আদালত। নির্বাচন কমিশন ওই কর্মচারীদের ভোটের কাজে অব্যাহতি দেওয়া সত্ত্বেও কেন এই ব্যবস্থা তার ব্যাখ্যা চায় আদালত।
 
রাজ্যের আইনজীবী একটানা দু’মাসের শুষ্ক আবহাওয়া পরিস্থিতিকে দাবানলের জন্যে দায়ী করলে  বিচারপতি গাভাই মন্তব্য করেন, অদূর ভবিষ্যতে আবহাওয়ার আরও অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। যে কোন সরকারেরই দায়িত্ব সেই পরিস্থিতির মোকাবিলায় আগাম পরিকল্পনা করা। শুনানি-পর্বে উঠে আসে, উত্তরাখণ্ডের বনভূমিতে পাইনের শুকনো পাতার আধিক্যের কারণেই দাবানলের ভয়াবহতা বাড়ছে। সরকারি তরফে আদালতকে জানানো হয়, অর্থের বিনিময়ে পাইন নিডল সংগ্রহের প্রকল্প চালু করা হয়েছে।