উত্তরাখন্ড বন্যার ভয়াবহ প্রভাব, রাজধানীর ১০ হাজার বাড়িতে জল সরবরাহ বন্ধ

দিল্লি জল বাের্ড (Photo: IANS)

হাঁড় কাপুনি শীত নেই, কিন্তু গরমও জাঁকিয়ে পড়েনি- তার আগেই মরশুমি জল কষ্টের মােকাবিলায় ব্যস্ত দিল্লি জল বাের্ড । কর্তৃপক্ষের তরফে উত্তরাখন্ডের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিকেই মূলত কারণ হিসেবে দেখানাে হয়েছে।

ভয়াবহ জলস্রোতের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে কাদা ও ধ্বংসস্তুপ গঙ্গার নিম্নগতিতে বেয়ে চলে আসার কারণে নােংরা ও কাদা জল লাইনের মাধ্যমে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টে এসে পড়ছে, তাতে এত পরিমাণ নােংরা ও কাদা মিশ্রিত রয়েছে যে শহরের প্রয়ােজনে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পরিজুত করে সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। 

দিল্লি জল বাের্ডের ভাইস চেয়ারপার্সন রাঘব চাড্ডা স্থানীয় বাসিন্দাদের ‘বুঝে’ জল ব্যবহার করার আর্জি করেছেন। কেননা, নােংরা জল আসার কারণে শহরের দুটো প্রধান ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট সঠিকভাবে জল সরবরাহ করতে পারছেনা। পরিশ্রুত জল ফিল্টার করার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে অ্যামােনিয়া মিশ্রিত নােংরা জল বের করার জন্য সর্বক্ষণ টিম কাজ চালাচ্ছে। 


দশ হাজারের বেশি বাড়ির জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। শহরে কবে জল সরবরাহ স্বাভাকি হবে তা নিয়ে কিছু জানানাে হয়নি। ঋষিগঙ্গা উপত্যকা দিল্লি থেকে প্রায় ৫৩০ কিলােমিটার উত্তরপূর্বে অবস্থিত হলেও ঋষি গঙ্গার জল রাজধানীর মূল জল সরবরাহের আধার।

উপত্যকা থেকে জল গঙ্গায় এসে পড়ে, সেখান থেকে দিল্লিতে এসে পৌছয়। গঙ্গার ৫০০ কিলােমিটার নিম্নগতিপথে প্রথমে রাজধানী পড়ায় ওখানেই সরাসরি প্রভাব পড়েছে। দিল্লি শহরের জন্য প্রয়ােজনীয় জলের ৬০ শতাংশ জল যমুনা নদী থেকে ও ৩৪ শতাংশ জল গঙ্গা থেকে আসে। দুটো নদী গত কয়েক বছরে সাংঘাতিকভাবে দূষিত হয়েছে। 

উরাখন্ড বিপর্যয়ে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৫০ জন নিখোঁজ। উদ্ধারকারী দল কাদা ও ধ্বংস স্তুপের মধ্যে থেকে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে।