ফের সরকারি চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস , ৬ জনকে গ্রেফতার  করল উত্তরপ্রদেশ এসটিএফ  

২৪ জুন – নিটকাণ্ডের মধ্যেই আবার প্রকাশ্যে এল আরও এক অনিয়মের অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশের সবচেয়ে বড় সরকারি চাকরির পরীক্ষা উত্তরপ্রদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করল স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। তদন্তকারীদের দাবি, উত্তরপ্রদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের আরও-এআরও পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের যোগ রয়েছে মধ্যপ্রদেশের ভোপালের এক প্রিন্টিং প্রেসের সঙ্গে। সেখানেই প্রশ্নপত্র ছাপা হয়েছিল। সেই প্রিন্টিং প্রেসের এক কর্মীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। 

গত ১১ ফেব্রুয়ারি ইউপিপিএসসি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মার্চ মাসের ২ তারিখ সেই পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়। বাতিলের কারণ হিসেবে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগই সামনে আসে। এরপরই ঘটনার তদন্তে নামে উত্তরপ্রদেশ এসটিএফ। যে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে সুনীল রঘুবংশী বলে একজন হয়েছেন যিনি প্রিন্টিং প্রেস কর্মী। বাকিরা হলেন সুভাষ প্রকাশ, বিশাল দুবে, সন্দীপ পাণ্ডে, অমরজিৎ শর্মা এবং বিবেক উপাধ্যায়। তাদের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, ৬টি মোবাইল ফোন এবং পাঁচটি ব্যাঙ্ক চেক পাওয়া গেছে। 

অভিযোগ, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছাপা হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের এক ছাপাখানায়। সেখানকার এক কর্মী রাজীব নয়ন মিশ্রর দৌলতে ফাঁস হয় প্রশ্নপত্র। পরীক্ষার ৮ দিন আগেই তা পৌঁছে যায় পরীক্ষার্থীদের কাছে। মামলার তদন্তে শুরুতেই জানা যায়, প্রয়াগরাজের এক পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে প্রশ্নফাঁস হয়। পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্নের ছবি তুলে তা বাইরে পাঠানো হয়। সেই ঘটনার তদন্তে প্রয়াগরাজের বিনীত যশবন্ত গ্যাংয়ের ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।


তবে তদন্ত যত এগোতে থাকে প্রকাশ্যে আসে একের পর এক তথ্য। ভোপালের ছাপাখানার কর্মী রাজীব নয়ন মিশ্রকে জিজ্ঞাসাবাদের পরই প্রকাশ্যে আসে প্রশ্ন ছাপানোর সময়েই তার বাড়তি কপি ছাপিয়ে টাকার বিনিময়ে তা তুলে দেওয়া হয় পড়ুয়াদের হাতে। গোটা ঘটনায় যুক্ত রাজীবের আরও ৫ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই মামলায় আরও এক মহিলা যুক্ত ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। তাঁর খোঁজ তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া ৬ জনই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ছিলেন।