• facebook
  • twitter
Friday, 27 December, 2024

জয়া প্রদাকে ‘পলাতক’ ঘোষণা, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি, ৬ মার্চের মধ্যে আদালতে হাজিরের নির্দেশ উত্তরপ্রদেশ আদালতের 

লখনউ, ২৮ ফেব্রুয়ারি –  প্রাক্তন সাংসদ ও অভিনেত্রী জয়া প্রদাকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল উত্তরপ্রদেশের আদালত। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে জয়ার বিরুদ্ধে রুজু হওয়া দুই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দিয়েছে রামপুরের এক আদালত। ৬ মার্চের মধ্যে তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। প্রসঙ্গত, উত্তর প্রদেশের রামপুরে প্রতারণার মামলা

লখনউ, ২৮ ফেব্রুয়ারি –  প্রাক্তন সাংসদ ও অভিনেত্রী জয়া প্রদাকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল উত্তরপ্রদেশের আদালত। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে জয়ার বিরুদ্ধে রুজু হওয়া দুই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দিয়েছে রামপুরের এক আদালত। ৬ মার্চের মধ্যে তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

প্রসঙ্গত, উত্তর প্রদেশের রামপুরে প্রতারণার মামলা দায়ের হয় জয়া প্রদার বিরুদ্ধে। অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে কেমারি ও সোয়ার থানায় দু’টি অভিযোগ জমা পড়ে। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের এই মামলায় এবার তাঁকে গ্রেফতারির নির্দেশ দিল আদালত। উল্লেখ্য, এর আগে একটি সিনেমা হলের কর্মীদের দায়ের করা মামলায় অভিনেত্রীকে জেল ও জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

জানা যাচ্ছে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠেছিল জয়ার বিরুদ্ধে।উত্তর প্রদেশের রামপুরের প্রাক্তন সাংসদ জয়া প্রদা ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে নির্বাচনী বিধি ভেঙেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। একাধিকবার তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেয় বিশেষ এমপি-এমএলএ কোর্ট। কিন্তু অভিনেত্রী হাজির হননি। পর পর সাতবার জামিন অযোগ্য পরোয়ানাও জারি হয় জয়া প্রদার বিরুদ্ধে। তা সত্ত্বেও তিনি একবারও উপস্থিত হননি। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ আদালতকে জানিয়েছে, জয়া গ্রেপ্তারি এড়িয়ে যাচ্ছেন। তাঁর সমস্ত মোবাইল নম্বরও  ‘সুইচড অফ’ রয়েছে।

এই মামলার শুনানিতে বিচারক শোভিত বনসল জয়া প্রদাকে পলাতক বলে ঘোষণা করেন। পাশাপাশি, রামপুরের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়,  একটি দল গঠন করার। সেই দলের উপর দায়িত্ব বর্তেছে জয়াকে গ্রেপ্তার করে ৬ মার্চ আগামী শুনানির দিন তাঁকে আদালতে হাজির করানোর ।

২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে রামপুর থেকে বিজেপি প্রার্থী ছিলেন অভিনেত্রী জয়া প্রদা। সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খানের কাছে হেরে যান তিনি। এর আগে ২০০৪ এবং ২০০৯ সালে ওই রামপুর কেন্দ্র থেকেই সমাজবাদী পার্টির টিকিটে লড়েন তিনি। পরে সমাজবাদী পার্টি থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয় ।

এর আগে ২০২৩ -এর আগস্ট মাসে  জয়া প্রদাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল চেন্নাইয়ের একটি আদালত। ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। পাশাপাশি জরিমানা করা হয়েছিল পাঁচ হাজার টাকা। প্রসঙ্গত, চেন্নাইয়ে একটি থিয়েটারের মালিক ছিলেন জয়া প্রদা। যদিও পরে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। থিয়েটারের কর্মীদের অভিযোগ, তাঁদের বেতন থেকে টাকা কেটে নিলেও ইএসআই-এর টাকা মেটাননি ।চেন্নাইয়ের একটি আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ড এবং জরিমানার সাজা ঘোষণা করা হয়েছিল।