• facebook
  • twitter
Thursday, 21 November, 2024

পাকিস্তানি তরুণীকে অনলাইনে বিয়ে করলেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতার ছেলে

ধর্মগুরু মৌলানা মেহফুজুল হাসান খান এ বিষয়ে বলেন, ‘ইসলামে বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্রীর সম্মতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনলাইনে যোগাযোগের মাধ্যমে বিবাহ হওয়াটা কোনো জটিল বিষয় নয়, মৌলানা উপস্থিত থেকে উভয় পরিবারের সম্মতিতে এটি সম্পন্ন করা যায়। এই ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।’

অনলাইনেও বিয়ে সম্ভব? সম্প্রতি এমনই এক নজিরবিহীন বিবাহের সাক্ষী থাকল কাঁটাতারের এপার–ওপারের দুই দেশ। সম্প্রতি ভারতের উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতা তেহসিন শাহিদ তাঁর বড় ছেলের অনলাইনে বিয়ের আয়োজন করেছিলেন পাকিস্তানের এক তরুণীর সঙ্গে। যদিও চটজলদি তাঁর এহেন সিদ্ধান্তের নেপথ্যে ছিল, কনের মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। সেজন্য বিয়েতে যাতে বিলম্ব না হয়, তাই দুই পরিবারই চেয়েছিল বিয়েটি তাড়াতাড়ি সম্পন্ন হোক।

সেজন্য, মহম্মদ আব্বাস হায়দর এবং অন্দলীপ জেহরার বিয়ের আয়োজন করা হয় অনলাইনে। যদিও ভিসার জন্য আব্বাস আগে থেকেই আবেদন করেছিলেন, কিন্তু বর্তমান ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের জটিলতার কারণে ভিসা পেতে দেরি হচ্ছিল। শুক্রবার রাতে, অনলাইনে তাঁদের শুভ পরিণয় অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। একদিকে উত্তরপ্রদেশে ইমামবাড়ায় বরপক্ষের লোকজন উপস্থিত ছিলেন, অন্যদিকে লাহোর থেকে কনের পরিবারও যুক্ত ছিল। বরযাত্রীর সঙ্গে কয়েকজন বিজেপি নেতাও অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

বিজেপি নেতা শাহিদ গত বছর থেকেই ছেলের বিয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন এবং পাত্রী হিসেবে অন্দলীপকে তিনি নিজেই পছন্দ করেন, যিনি লাহোরে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করেন। তবে ভিসা না পাওয়ার কারণে দুই পরিবার দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে বাধ্য হয়েছিল। এর মধ্যেই কনের মা, ইয়াসমিন জাইদি, অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং অনলাইন বিয়ের আয়োজন করা হয়।

শিয়া সম্প্রদায়ের ধর্মগুরু মৌলানা মেহফুজুল হাসান খান এ বিষয়ে বলেন, ‘ইসলামে বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্রীর সম্মতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনলাইনে যোগাযোগের মাধ্যমে বিবাহ হওয়াটা কোনো জটিল বিষয় নয়, মৌলানা উপস্থিত থেকে উভয় পরিবারের সম্মতিতে এটি সম্পন্ন করা যায়। এই ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।’

অনুষ্ঠানে বিজেপির বিধায়ক ব্রিজেশ সিংহ প্রিশুর মতো নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের পর আব্বাস আশা করছেন, শীঘ্রই স্ত্রী অন্দলীপ ভারতীয় ভিসা পাবেন এবং দ্রুতই তাঁর কাছে আসতে পারবেন। এজন্য তিনি প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন।