একদিকে মোদী আমেরিকা সফরে ব্যস্ত। ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা চলছে। এই বৈঠকের মধ্যেই সেদেশে অবৈধ অভিবাসী ভারতীয়রা এবং গোটা ভারত যখন একটি সুরাহার আশায় রয়েছেন, ঠিক সেই সময়ে আরও ১১৯ জন ভারতীয় অভিবাসীকে ফেরত পাঠাতে চলেছে ট্রাম্প সরকার। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় এই অবৈধ অভিবাসী ভারতীয় নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এ বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রক ভারতের অসামরিক বিমান সংস্থাকে চিঠি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয়বার ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর অবৈধ অভিবাসীদের নিজের নিজের দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। সেই তালিকায় বেশ কিছু ভারতীয়রাও রয়েছেন। যেসব ভারতীয় অবৈধভাবে মেক্সিকো সীমান্ত পেরিয়ে আমেরিকায় প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন এবং যাঁদের ভিসার মেয়াদ পেরিয়ে গিয়েছে, তাঁদেরকে অবৈধ অভিবাসী ভারতীয় বলে চিহ্নিত করেছে আমেরিকা। গত সপ্তাহ থেকেই আমেরিকা থেকে অবৈধ অভিবাসী ভারতীয়দের ফেরত পাঠানো শুরু হয়। প্রথম দফায় ১০৪জনকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আগামী ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি আরও দুই দফায় বেশ কিছু অবৈধ অভিবাসী ভারতীয়দের ফেরত পাঠাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় দফায় ১১৯ জন ভারতীয়কে দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এদিন রাত ১০টা ০৫ নাগাদ অমৃতসরে বিমানটি অবতরণ করবে। এই ১১৯ জনের মধ্যে ৬৭ জন পাঞ্জাবের বাসিন্দা এবং ৩৩ জন হরিয়ানার বাসিন্দা। এছাড়া গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের আরও ১৯ জন বাসিন্দা থাকবেন। এদিকে পরের দিন তৃতীয় বিমানটি ভারতে অবতরণ করবে বলে ঘোষণা করা হলেও সেই বিমানে ঠিক কতজন ভারতীয়কে ফেরত পাঠানো হবে, সেবিষয়ে এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিদেশ সচিব জানিয়েছেন, আমেরিকার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সেদেশে ৪৮৭ জন ভারতীয় অবৈধভাবে বসবাস করছেন। তাঁদের সবাইকেই ধাপে ধাপে ফেরত পাঠাবে ট্রাম্প প্রশাসন।
এদিকে শুক্রবার আমেরিকায় ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। সেখানে অবৈধভাবে আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয়দের দেশে ফেরানো নিয়ে কথা হয় দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের। বৈঠকে মোদী ট্রাম্পের পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘আমেরিকায় যে সকল ভারতীয় অবৈধভাবে বসবাস করছেন, তাঁদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত ভারত।’