উত্তরপ্রদেশের হারখাস জেলায় দু’সপ্তাহ আগে এক বছর কুড়ির তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে সাঙ্ঘাতিক আঘাত নিয়ে টানা ১৩ দিন উত্তরপ্রদেশের একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ-তে রাখা হয়েছিল তাকে। সােমবার অবস্থার অন্নতি হওয়ায় তাঁকে নিয়ে আসা হয় দিল্লিতে। মঙ্গলবার ভােরে সব শেষ হয়ে গেল। মৃত্যু হল ওই তরুণীর।
নিজেরই গ্রামে এক পরিত্যক্ত জায়গায় তুলে নিয়ে গিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালানাে হয় ওই তরুণীর ওপর। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে আঘাত করার পাশাপাশি তার জিভ ছিড়ে নেওয়ারও চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। ক্ষতবিক্ষত তরুণীকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করেন পড়শিরা। ঘটনার তিন দিনের মাথায় মােট চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আপাতত জেল রয়েছে তারা।
জানা গিয়েছে নির্যাতিতা তরুণী তপশীলি জাতিভুক্ত। আর তার ওপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছে যারা তারা তথাকথিত উচ্চবর্ণের। চলতি মাসে একাধিক যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। তিন বছরের শিশুকন্যাকে পর্যন্ত যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। এদিন এই তরুণীর মৃত্যুর পর উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে পাকাপাকিভাবে প্রশ্ন চিহ্ন উঠে গেল।
তরুণীর পরিবারের অভিযােগ, রাতে বাড়ি না ফেরায় তারা স্থানীয় থানায় অভিযােগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ কোনও গা করেনি। আরও আগে যদি মেয়েকে উদ্ধার করা যেত তাহলে হয়তাে প্রাণে মরতে হত না।
তরুণীর ভাই সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, গ্রামের একটি জায়গায় দিদির ওড়না পড়ে থাকতে দেখেছিল মা। সে কথা পুলিশকে জানানােও হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ কিছু করেনি। ঘটনার প্রায় ২৮ ঘণ্টা পর স্থানীয় মানুষরা আমার দিদিকে উদ্ধার করে।