জেওয়ার বিমানবন্দরে জমি অধিগ্রহণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ কৃষকদের ক্ষতিপূরণের টাকা বাড়িয়ে দিলেন। আগে প্রতি বর্গ মিটারে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ধার্য হয়েছিল ৩,১০০ টাকা। সেটা আরও ১,২০০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলে প্রতি বর্গমিটারে কৃষকদের বর্ধিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে প্রতি বর্গ মিটারে ৪,৩০০ টাকা। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের একটি বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে যোগী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে জেওয়ারে এশিয়ার বৃহত্তম বিমানবন্দর তৈরি করা হচ্ছে। এই উন্নয়নের কৃতিত্ব কৃষকদের। নয়ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, জেওয়ারের জন্য তৃতীয় পর্যায়ে জমি অধিগ্রহণের জন্য সরকার প্রদত্ত ক্ষতিপূরণ প্রতি বর্গ মিটারে ৩,১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪,৩০০ টাকা করা হয়েছে। এজন্য সকল কৃষক ভাইদের আন্তরিক অভিনন্দন ও অভিবাদন জানাই!’ এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আরও ঘোষণা করেছেন, নিয়ম অনুসারে কৃষকদেরও সুদ দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসন ও তাঁদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।’
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের এই ঘোষণায় খুশি হয়েছে জেওয়ারের কৃষকরা। এজন্য তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। যোগী আদিত্যনাথ বলেছিলেন, ‘জেওয়ার কয়েক দশক ধরে অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। এখন এটি বিশ্ব মঞ্চে উজ্জ্বল হওয়ার জন্য প্রস্তুত। আগামী ১০ বছরের মধ্যে জেওয়ার দেশের সবচেয়ে উন্নত অঞ্চলে পরিণত হতে চলেছে। সমগ্র বিশ্বে এই সমৃদ্ধি তাকিয়ে দেখবে। নয়ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ২০২৫ সালের এপ্রিলে শুরু হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এটি উদ্বোধন করবেন।’ তিনি আরও বলেন, আগে এই এলাকায় জমির জন্য গুলি চালানো হতো। এখন কৃষকরা খুশি মনে জমি দান করছেন।’
এদিকে জেওয়ারের কৃষকরা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ওপর টানের তাঁদের সম্পূর্ণ ভরসা রয়েছে। যোগী আরও বলেছেন, ‘জেওয়ার বিমানবন্দরের কাছেও এমআরও তৈরি করা হবে। জেওয়ার বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত এবং ওভারহোলিং-এর (এমআরও) ক্ষেত্রে বিশ্বের কাছে একটি গন্তব্য হয়ে উঠবে।’ যেসব কৃষকরা নয়ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, জেওয়ারের শেষ পর্যায়ের কাজে জমি সরবরাহ করছেন, মুখ্যমন্ত্রী সেই কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকবে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জেওয়ার বিমানবন্দরটি ২০৪০ সালের মধ্যে বার্ষিক ৭০ মিলিয়ন যাত্রীর ক্ষমতা সহ একটি বিশাল বিমানবন্দর তৈরি করা হবে। র্যাপিড রেল ট্রানজিট সিস্টেম (আরআরটিএস) জেওয়ার বিমানবন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত হবে। প্রস্তাবটি ভারত সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। ইস্টার্ন পেরিফেরাল রোড, যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে, দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ে এবং দিল্লি-বারাণসী হাই স্পিড রেলের সঙ্গে জেওয়ার বিমানবন্দরের সংযোগ থাকবে।’