তিনিই যে ভারতের ভাবি রাষ্ট্রপতি তা প্রায় পাকা। তিনি দ্রৌপদী মুর্মু। আর তাঁকেই নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্যে এবার কাঠগড়ায় কংগ্রেস নেতা। এরপর বিতর্ক তো স্বাভাবিক।
বিতর্কের কেদ্রবিন্দু সেই কংগ্রেস নেতা অজয় কুমার বলেছে, ‘মানুষ হিসেবে ভদ্র। কিন্তু তিনি ভারতের ‘শয়তানি দর্শনের’ প্রতিনিধি।
তাঁর মতে, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদীকে ‘আদিবাসীদের প্রতীক’ হিসেবে দেখা ঠিক নয়। স্বাভাবিক ভাবেই এমন মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি ।
উল্লেখ্য, দ্রৌপদী মুর্মু নির্বাচিত হলে তিনিই হবেন দেশের প্রথম আদিবাসী এবং দ্বিতীয় মহিলা রাষ্ট্রপতি। তিনিই ছিলেন ঝাড়খণ্ডের প্রথম মহিলা রাজ্যপাল।
২০১৫ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি ওই পদে ছিলেন। এক দরিদ্র আদিবাসী পরিবারের মেয়ে হয়ে প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়ে তাঁর এহেন উত্থান যেন রূপকথার মতো।
সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘ব্যাপারটা দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে নয়। যশোবন্ত সিনহা প্রার্থী হিসেবে ভাল।
মুর্মুও একজন ভদ্র মানুষ। কিন্তু উনি ভারতের একটা অত্যন্ত শয়তানি দর্শনকে প্রতিনিধিত্ব করছেন। তাঁকে আদিবাসীদের প্রতীক হিসেবে দেখা উচিত নয়।
আমরা তো রাষ্ট্রপতি হিসেবে রামনাথ কোবিন্দকে পেয়েছিলাম। উনি হাথরস নিয়ে কিছু বলেছিলেন? তপসিলি জাতিদের পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে।’
তাঁর এহেন মন্তব্যে বিতর্ক ঘনিয়েছে। বিজেপির মুখপাত্র শাহজাদ পুনাওয়ালার অভিযোগ, এমন মন্তব্য করে অজয় কুমার দ্রৌপদী মুর্মুকে অসম্মান করেছেন।
প্রসঙ্গত, বস্তুত গেরুয়া শিবির মনে করছে, দ্রৌপদী যে জিতবেন তাতে কোনও সংশয় নেই। একে তো সংখ্যার বিচারে তাদের প্রার্থী বিপক্ষের প্রার্থী যশবন্ত সিনহারথেকে অনেক এগিয়ে। তার উপরে আবার বিরোধী শিবির ছন্নছাড়া।
রাষ্ট্রপতি পদে তাঁর নির্বাচিত হওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস নেতার এহেন মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হল।