মহাকুম্ভে নজিরবিহীন নিরাপত্তা

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

মহাকুম্ভের নিরাপত্তায় বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে প্রয়াগরাজে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থায় মুড়ে ফেলা হয়েছে মহাকুম্ভকে। মহাকুম্ভের নিরাপত্তা ও সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শনিবার প্রয়াগরাজে পৌঁছন উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি প্রশান্ত কুমার। বৈঠক করেন মহাকুম্ভের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে। উৎসব চলাকালীন কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে এবং সর্বত্র যাতে নিরাপত্তা বজায় থাকে সেই বিষয়ে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি প্রশান্ত কুমার জানান, ‘এখানে আসা পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা যাতে বজায় থাকে সেই বিষয়টিকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। সেদিকে নজর রেখেই সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’

প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভকে ঘিরে নজিরবিহীন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশমতো পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার দিকে সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। মহাকুম্ভ মেলা প্রাঙ্গনে সাধুসন্ত, যোগী, এবং সাধারণ পুণ্যার্থীদের খাওয়া-থাকার পাশাপাশি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শনিবার মেলা প্রাঙ্গণে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রশান্ত কুমার বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশমতো সবরকম নিরাপত্তার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মহাকুম্ভে স্নানপর্বের সময় জল, স্থল ও আকাশ এই তিন জায়গায় পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।’ ডিজিপি বলেন, ‘বিশাল এই উৎসবে সারা পৃথিবী থেকে বহু মানুষের সমাবেশ হবে এখানে। আনুমানিক ৪০ থেকে ৫০ কোটি মানুষ এই উৎসবে সামিল হবেন। আসবেন বহু বিদেশি পর্যটকও।’

ডিজিপি প্রশান্ত কুমার বলেন, ‘নিরাপত্তায় যাতে কোনও ঘাটতি না থাকে তাই গত কয়েক মাস ধরে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। পরিকাঠামো, সমস্ত রকম প্রয়োজনীয় সামগ্রী এবং কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। যথেষ্ট ভালো প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমরা আরও উন্নত ব্যবস্থা গ্রহণ করার চেষ্টা করছি। দুর্যোগ সংক্রান্ত ব্যবস্থা, অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
ডিজিপি বলেন, ‘যে কোনও ধরনের সমস্যা এড়াতে আধুনিক যন্ত্রপাতি রাখা হয়েছে। ড্রোন প্রতিরোধী ব্যবস্থা এবং ড্রোন ধ্বংস করার বিশেষ ব্যবস্থা রাখা রয়েছে। জলপথের নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী করা হয়েছে।মেলায় স্নানের জন্য ঘাটের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ভক্তরা যে পথ ধরে আসবেন, সেই পথ ধরেই তাঁরা যাতে স্নান সেরে ফিরতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভারতীয় রেলের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করা হচ্ছে। সাইবার সংক্রান্ত বিষয়েও সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।’


এককথায় মহাকুম্ভের নিরাপত্তায় একবিন্দুও ফাঁক রাখছে না যোগী আদিত্যনাথের সরকার। মোতায়েন করা হয়েছে এনএসজি কম্যান্ডো বাহিনী, এবং স্নাইপার প্লাটুন। প্রসঙ্গত, কানাডাবাসী খলিস্তানি জঙ্গিনেতা পান্নুন মহাকুম্ভে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে।