নজিরবিহীন ঘটনা ঘটল রাজস্থানে। সেনাবাহিনীর এক জওয়ানকে থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে নগ্ন করে মারধরের অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা ঘটেছে জয়পুরের শিপ্রা পথ থানায়। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই থানায় গিয়ে জয়পুর পুলিশের এক আধিকারিককে তিরস্কার করেন রাজস্থানের মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর। এই ঘটনায় এক সাব-ইন্সপেক্টর সহ ৪ পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে , ওই সেনা জওয়ানের নাম অরবিন্দ সিং। অরবিন্দ তাঁর বন্ধু রাজবীর শেখাওয়াতের সঙ্গে এক পার্টিতে যোগ দেন। একটি ওয়াইন ক্লাবে পুলিশের ধরপাকড় চলার সময় তাঁকে আটক করা হয় এবং থানায় তুলে আনা হয়। এর পর তিনি জানতে চান কেন তাঁকে আটক করা হয়েছে ? তিনি এক পুলিশ আধিকারিকের কাছে একথা জানতে চেয়ে কথা বলতে চাইলে তাঁর সঙ্গে অত্যন্ত অভদ্র আচরণ করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর আলাদা ঘরে নিয়ে গিয়ে নগ্ন করে ব্যাপক মারধর করা হয় ওই সেনা জওয়ানকে।
এই ঘটনার কথা রাজ্যের মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোরের কানে যায়।সোমবার অনুগামীদের নিয়ে থানায় উপস্থিত হন মন্ত্রী। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সেখানে কড়া ভাষায় পুলিশকে তিনি প্রশ্ন করছেন, ‘একজন সার্ভিস সেনা জওয়ানকে আপনি লাঠি দিয়ে মারছেন। আপনাদের এত সাহস কী করে হয় ? একজন সেনার সঙ্গে এমন আচরণ করলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে আপনারা কেমন ব্যবহার করেন ?’
এরপর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী বলেন, ” অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা হল, এক সেনা জওয়ান, যিনি কাশ্মীরে নিযুক্ত তিনি কোনও কারণে রাজস্থান এসেছিলেন। কোনও কারণ ছাড়াই তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে নগ্ন করে ব্যাপক মারধর করা হয়। এমনকী সকলের সামনে দাঁড় করিয়ে তাঁকে বলতে বাধ্য করাহয়, ‘পুলিশ সেনার বাপ।’ এটা খুবই দুঃখজনক। আমার পুলিশের উপর বিশ্বাস ও আস্থা রয়েছে। কিন্তু এই ধরনের পুলিশ সমাজের পক্ষে খুবই বিপদের। আমি পুলিশের বিশ্বাস রেখেই বলছি, তাঁরা এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবেন। আমি নিজে দেখেছি কীভাবে ওই জওয়ানকে মারধর করা হয়েছে । আমি নিজে ডিজি ও পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন এই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করা হবে।’